রক্তঝরা গোলাপ

রক্তঝরা গোলাপ

রক্তঝরা গোলাপ

রাশেদ এসে টেবিলে বসেই ব্যাগ হতে ল্যাপটপ বের করে তা চালু করতে করতে মাইকেলকে বললঃ

আজ আমি তোমাকে একটা দুর্লভ ভিডিও ক্লিপ দেখাব, এটা মাত্র আধা মিনিটের ভিডিওক্লিপ, তবে সাধারন ভিডিও নয়। কেননা ইহা আমাদেরকে ইতিহাসের শত বছরে পিছনে নিয়ে যাবে, ইহা একটি দৃশ্যমান ডকুমেন্ট।

রাশেদ ও মাইকেল গুরুত্বসহকারে ল্যাপটপের কাছে তাদের মাথা ঝুঁকিয়েপর্দায় চোখ রাখল।

মাইকেলঃওহ,কি চমৎকার! কী যে ভালো লাগছে, আমি আমার দেশ বৃটেনের শত বছর আগের জীবনযাত্রা দেখছি। আমি রাস্তায় পথিকের প্রফুল্লতা দেখছি..., এ শিশুটির আনন্দ দেখছি... তখন জীবন ছিল স্বয়ংক্রিয় ,স্বভাবজাতপূর্ণ ও স্বাভাবিক... এ জীবন কতইনা আত্মার নিকটবর্তী ছিল।

রাশেদঃ আমি ভিডিওটা আবার চালু করব যাতে তুমি অন্য একটা বিষয় লক্ষ্য করতে পার।

রাশেদ ভিডিও ক্লিপটি আবার চালু করে মাইকেলকে বলতে লাগলঃ

দেখ.. একজন নারী ..দুইজন ..পাঁচজন.. ছয়জন নারী... আমার সাথে লক্ষ্য কর... তাদের সকলের ক্যাপে আবৃত মাথা ও দু’হাত ব্যতিত আর কিছুই দেখা যাচ্ছেনা। তাদের পোশাক গুলো ঢিলেঢালা, শরীরের কিছু বুঝা যাচ্ছেনা।

মাইকেলঃঠিকই!

রাশেদঃ তাহলে এখন কি হচ্ছে?

মাইকেলঃকোথায়?

রাশেদঃ তোমাদের সমাজে..

মাইকেলঃ তুমি কি উলঙ্গতা ও অশ্লীলতাকে বুঝাতে চেয়েছ?!

রাশেদঃ ঠিকই ধরেছ। তবে আমি এটাও বলব যে, এটা সাধারনত নৈতিক মূল্যবোধ ধ্বংসের মধ্যে শামিল।

মাইকেলঃএগুলো ব্যক্তি স্বাধীনতা। আমরা বর্তমানে এমন সমাজে আছি যেখানে স্বাধীনতাকে মহাপবিত্র মনে করা হয়। এখানে প্রত্যেক মানুষের অধিকার আছে সে তার নিজের মত করে জীবনকে চালাবে।

রাশেদঃ আমি অবশ্যই একথা বুঝি। এ বিষয়ে আলোচনার জন্য আমাদের আলাদা এক বা একাধিক বৈঠক হতে পারে। কিন্তু লক্ষ্যনীয় ব্যাপার হলো,সমাজে এসব নৈতিক মূল্যবোধের পরিবর্তনের উপর সকলে সামাজিকভাবে একমত, প্রত্যেকের পছন্দ যেন একই ভিত্তির উপর কেন্দ্রীভূত।

মাইকেলঃতুমি জান যে, এখানে সামাজিক সংস্কৃতি বলে একটা কথা আছে। এ সংস্কৃতিতে সমাজে মানুষ বড় হ এবং কোন ভিত্তি বা সামাজিক কোন প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন আচরনে অভ্যস্ত হয়ে যায়। এসব সংস্কৃতির কারনেই মানুষের পছন্দের মাঝে কখনো কখনো পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।

রাশেদঃ খুবই সুন্দর কথা। এ ব্যাপারটা নিয়ে যখন আমরা এর সঠিক হওয়া বা ভুল হওয়ার বিষয় যাচাই করি তখন দেখতে পাই যে, তোমাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থও শালীনতার প্রতি এবং প্রকাশ্য সাজসজ্জা না করার প্রতি আহবান করে। । “করিন্থীয় বাণী” তে পৌলের পত্রে (২/৯) উল্লেখ আছে যে, আমি আরো চাই যে, নারীরা উপযুক্ত শালীন পোষাকে, লজ্জা ও বিনয় সহকারে বের হবে। তবে পায়ে চুড়ি বা খলখল, সোনা ও মূল্যবান জিনিসের গহনা পরিধান করবেনা।(১০) বরং নারী বের হবে এমনভাবে যেন বোঝা যায় যে,তারা আল্লাহর ভয়ভীতিতে ও সৎকাজ করে জীবন অতিবাহিত করে।

মাইকেলঃহে দোস্ত! ইহা গীর্জার নারীদের ব্যাপারে ঠিক আছে। আর গীর্জার বাইরে আমাদের যে জীবন রয়েছে সে ব্যাপারে আমি তোমাকে ইতিপূর্বে বলেছি যে, আমরা নবজাগরণের যুগ থেকেই দ্বীনকে জীবন থেকে আলাদা করেই জীবন যাপন করছি।

রাশেদঃ কিন্তু হে বন্ধু! এ ভিডিও ক্লিপটিতে আমরা শালীন পোষাকে নারীদেরকে রাস্তায় দেখেছি, গীর্জায় নয়। আর এটি হচ্ছে তোমরা যাকে নবজাগরণের যুগ বল তার কয়েক শতাব্দী পরের দৃশ্য। আর যদি আমি তোমাদের নৈতিক মুল্যবোধ থেকে ধর্ম বের হয়ে যাবার কথা স্বীকার করে নেই তাহলে আমি তোমাকে প্রশ্ন করিঃ কি এমন বিষয় ঘটেছে? কি কারনে তোমাদের নারীরা এসব অশ্লীলতা ও উলঙ্গপনার দিকে ধাবিত হয়েছে?

মাইকেলঃঅশ্লীলতা তোমার দৃষ্টিকোণ থেকে। কিন্তু আমি তো সব স্বাভাবিক দেখছি। রাখ, ভিডিও ক্লিপে একটা বিষয়ে আমি তোমার দৃষ্টি আকর্ষন করছি; সেটা হলোঃ এটা শীতকালে রেকর্ড করা হয়েছে, অথবা কোন এক শৈতপ্রবাহ দিনে। পুরুষ ও শিশুদের পোশাক ও এর রঙ দেখে এটা স্পষ্ট বুঝা যায়। অতএব, এসব শালীনতা ঠান্ডা আবহাওয়ার কারনে হতে পারে। যদিও এ বাস্তবতাকে অস্বীকার করা যায়না যা আমরা সবাই জানি যে, সে যুগে নারীরা নিজেদেরকে অনেকটা ঢেকে রাখত। আর পরবর্তীতে কি ঘটেছে, সেটার সাধারন উত্তর হলোঃ সমাজের উন্নতির ফলে নৈতিক মূল্যবোধ ও নীতিবোধের পরিবর্তন ঘটেছে।

রাশেদঃ এটা ভিন্ন একটি অধ্যায়, যা নিয়ে আমরা অন্য একদিন আলোচনা করতে পারি। এটা তুলনামূকল চারিত্রিক ব্যাপার। আমরা যদি বিজ্ঞানের অগ্রগতি, উপকরণ ও উপায় ইত্যাদি সঠিকভাবে বুঝি তবে দেখব চারিত্রিক ও নৈতিক মূল্যবোধগুলো বাস্তবায়নে এসব যুগে ভিন্নতা এসেছে, অর্থাৎ এসব গুনাবলী সব সময়ই ঠিক ছিল, শুধু সময়ের ভিন্নতার কারনে বাস্তবায়নে কিছুটা ভিন্নতা এসেছে।

মাইকেলঃপরে এ ব্যাপারে আলোচনা করতে কোন অসুবিধে নেই। কিন্তু রাশেদ তুমি দয়া করে কি বলবে যে, তোমরা নারীর শারীরিক দিকটাকে কেন এত গুরুত্ব দাও?! এ বিষয়টা নিয়ে তোমরা এত ব্যস্ত কেন?!

রাশেদঃ ইসলাম নারী পুরুষকে একজন মানুষ হিসেবে দেখে। আর দেহ, আত্মা ও জ্ঞানের সমন্বয়ে মানুষের সৃষ্টি। এ তিনের কোন একটিকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়; কেননা মানুষের মাঝে শুধু শারিরীক উপাদানই বিদ্যমান নয়, তার রয়েছে জৈবিক উপাদানও। এ জ্ঞানসম্পন্ন এ প্রাণীটিকে মনুষ্যত্বের পর্যায়ে পৌঁছতে হলে তাকে কতিপয় নৈতিক মূল্যবোধ, আত্মিক উন্নতি, সামাজিক নিয়ম-কানুন ইত্যাদির পরিপূর্ণতা পেতে হয়।

তোমরা যখন থেকে মনে করলে যে, তোমরা নবজাগরণ লাভ করেছ, আর গীর্জা তথা ধর্মকে তোমাদের জীবন হতে পৃথক করে ফেলেছ তখন থেকে তোমরা চাচ্ছ, যেন গীর্জা তার আধ্যাত্মিকতা নিয়ে থাকে, আর ধর্মীয় গন্ডির বাহিরে স্বীয় জ্ঞানকে ব্যবহার করে তোমরা তোমাদের শরীর নিয়ে যা খুশী তা-ই কর। আর এজন্য বস্তুবাদী সভ্যতার শয়তানগুলো ধর্ম ও নৈতিকতার বাহিরে পাশবিক যৌন লালসা চরিতার্থ করার জন্য লেলিয়ে দিয়েছে। তাদের এসব পাশবিক ইচ্ছা পূরণের জন্য নারীদেরকে বিভিন্নভাবে নানা উপায়ে দেহ প্রদর্শনীতে উৎসাহিত করেছে, আর একে তারা অধিকার ও স্বাধীনতা নাম দিয়েছে।

মাইকেলঃ কিন্তু আমরা এসব উলঙ্গপনা সকাল-সন্ধ্যায়ই দেখি, এতে তো আমাদের মাঝে তেমন কোন লালসার সৃষ্টি হয়না; যাকে তুমি পাশবিকতা বলেছ।

রাশেদঃ তুমি কি মনে কর এটা একটা ভালগুণ বা উত্তম চরিত্র? মানুষ উলঙ্গতা ও উত্তেজক দৃশ্য দেখতে অভ্যস্ত হলে খুব সহজে যৌন চাহিদাহীনতায় আক্রান্ত হয়। এতে আরো বড় ক্ষতি সাধিত হয়, ফলে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টির ভিন্ন উপায় খুঁজতে থাকে, যা তাকে ধীরে ধীরে সমকামীতার দিকে নিয়ে যায়।

মাইকেলঃ পরিণাম তোমার কাছে অনেক ধরনের, কিছু পরিনাম কাছের, আর কিছু অনেক দূরের।

রাশেদঃ হ্যাঁ, এসব অশ্লীলতার ফলে অনেক বড় অপরাধ সংঘটিত হয়। কারণ কেউ যদি শারীরিক, অথবা সামাজিক ,বা শিক্ষাগত কারনে যৌন চাহিদাহীনতার পর্যায়ে না ও পৌঁছে তবে সে অতিরিক্ত যৌন উত্তেজনার সমস্যায় ভুগবে, এর ফলে ধর্ষণ বেড়ে যাবে। ধর্ষনের পরিসংখ্যানে এমনই দেখা যায়। রাখো,আমি এ ব্যাপারে সামান্য কিছু উদাহরন দিচ্ছিঃ

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে,এক বছরে ফ্রান্সে (৪৪১২)টি ধর্ষণ হয়েছে, অর্থাৎ প্রায় প্রতি দু’ঘন্টায় একটি করে ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে।

বৃটেনে লন্ডন পুলিশ নারীদেরকে পুরুষের আক্রমন থেকে আত্মরক্ষার বিভিন্ন কৌশল রপ্ত করা এবং বিভিন্ন ফলপ্রসু পদক্ষেপ নেয়ার প্রতি উৎসাহ দেয়ার জন্য একটি বিশেষ অভিযান গড়ে তুলে। এ অভিযানের ব্যবস্থা তখনই নেয়া হয় যখন দেখা যায় যে, এক বছরে লন্ডনের রাস্তা-ঘাটে নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষনের অপরাধ ১১% পর্যন্ত পৌঁছেছে।

আমেরিকার জাতীয় দুর্ঘটনা রকেন্দ্রে পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, আমেরিকাতে যুবতী নারী ধর্ষনের মাত্রা প্রতি মিনিটে (১.৩) জন । এ সেন্টার আরো উল্লেখ করেন যে, প্রতি আটজন যুবতী নারীর মধ্যে একজন ধর্ষনের শিকার হয়। এ পরিসংখ্যান ১৯৯১ সালের।

আর বর্তমানে ২০০৯ সালের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, ১৪ বছর বয়সী প্রতি তিনজন মেয়ের মধ্যে একজন মেয়ে ধর্ষনের শিকার হয়। বর্তমানে আমেরিকাতে বছরে অর্ধ মিলিয়ন ধর্ষন মামলা হয়ে থাকে। আর (৬১%) মেয়ে ১২ বছর বয়সের আগেই তাদের কুমারীত্ব হারায়।

এক্ষেত্রে আরেক ধরনের অপরাধ আছে, যা গোপনীয় অপরাধ। যেমনঃ কর্মস্থলে নারীরা মালিক ও উর্ধ্বতম কর্মকর্তা দ্বারা ইভটিজিং বা যৌননির্যাতনের শিকার হন। সাধারনত চাকুরী হারাবার ভয়ে, অন্য কোন লোভে বা প্রমানের অভাবে এ সব অপরাধ রেকর্ড করা হয়না।

তাই স্বভাবতঃ এ সংখ্যা প্রকৃত সংখ্যা নয়। কেননা “নারী ধর্ষন প্রতিরোধ সংস্থা” মনে করেন যে, এক্ষেত্রে ৩৫টি ঘটনার মধ্যে মাত্র একটি ঘটনা নারীরা প্রকাশ করে।

মাইকেলঃ কিন্তু ধর্ষনের মত সমস্যা এমন একটা জটিল সমস্যা;যার অনেকগুলো কারন রয়েছে, যেমনঃ আত্মিক, শিক্ষাগত, সামাজিক এমনকি অর্থনৈতিক কারনও রয়েছে।

রাশেদঃ এটা ঠিক, কিন্তু একথা আমরা অস্বীকার করতে পারবনা যে, বড় কারনগুলোর মধ্যে অন্যতম হল,শারীরিক যৌনতাকে উস্কে দেয়া এমন কী যদি তা প্রদর্শনীর মাধ্যমেও হয়।লক্ষ্যনীয় ব্যাপার এই যে, আমেরিকার একটি গবেষনায় দেখা যায়, শীতকালে সেখানে ধর্ষনের হার গরমকালের তুলনায় কম। এটা হয়ত এ কারনে যে, শীতকালে নারী শরীর ভালকরে ঢেকে রাখে বা শীতকালে লোকজন কম বের হয় ফলে মেলামেশা কম হয়। দু’য়ের যে কারনেই হোক শীতে ধর্ষনের পরিমান কমে যায়।

মাইকেলঃ কিন্তু পরিশেষে দেখা যায় যে, নারীরাই তো তাদের ইচ্ছেমত শরীর খুলে রাখে, আর এটাকে আমরা ব্যক্তি স্বাধীনতা বলি, যা আমরা তাদেরকে নিষেধ করতে পারিনা।

রাশেদঃ প্রকাশ্যে এটা এ রকমই মনে হয়, কিন্তু বাস্তবতা হল, পাশ্চাত্য সমাজের অধিপতিরা বিশেষ করে পুরুষেরা তাদেরকে উলঙ্গপনার সংস্কৃতিতে ও উগ্র সাজে অভ্যস্থ করেছে, আর এ জন্য সব ধরনের পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে, সব ধরনের যৌন উত্তেজনাকর মাধ্যম সৃষ্টি করেছে, যাতে তারা নারীদেরকে কোন প্রতিকূলতা ছাড়াই ভোগ করতে পারে। বরং তারা নারীর স্তীত্বের প্রতি অবিচার করে আইন-কানুন তৈরি করেছে। কেননা পাশ্চাত্যেরপাশ্চাত্যের মানব রচিত আইনগুলো ধর্ষিতা নারীকে করুনা বা দয়া করার চেয়ে ধর্ষনকারী পুরুষকে বেশি করুনা করে থাকে, যা তাদেরকে আরো বেশি করে ধর্ষনের প্রতি উৎসাহিত করে। বরং কিছু কিছু পাশ্চাত্য পাশ্চাত্য সমাজে ধর্ষনের ঘটনাকে আইনী কোন অপরাধ হিসাবে না ধরে নৈতিক অবক্ষয় বলে গণ্য করা হয়।

এর বাস্তব উদাহরণ দিচ্ছিঃ ফিনল্যান্ডে- যা উন্নত বিশ্বের একটি দেশ যারা নারীর প্রতি বেশি গুরুত্ব দেয়- একলোক বাসস্ট্যান্ডে বিকলাঙ্গদের টয়লেটে জোরপূর্বক একজন নারীকে ধর্ষন করে। প্রথমে সে তার মাথা দেয়ালের সাথে আঘাত করে ও হাত পিছনে বেঁধে ফেলে। প্রসিকিউশনের মতে এটা কোন ধর্ষন ছিলনা, কেননা সেখানে যে জবরদস্তি হয়েছে তা খুব হালকা ছিল!!! মহিলাটিকে জোর পূর্বক ধর্ষনের কারনে লোকটিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ও তাকে সাত মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে!!

হে বন্ধু! দেখ কোন সমাজ বেশি নিরাপদ ও নৈতিকতামুখী? আজকের সমাজ নাকি শতাব্দীকাল আগের সমাজ? ভিডিওটা আবার একটু দেখেবে নাকি?!

মাইকেলঃ ঠিক আছে রাশেদ, কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিকোণে এ ব্যাপারে তোমাদের মতামত কি?

রাশেদঃ এ ব্যাপারটা বলতে গেলে আরো একটি আলাদা আলোচনার দরকার, বরং অনেকগুলো বৈঠকের প্রয়োজন।




Tags: