মানুষ যখন শূদ্র (সমাজচ্যুত)

মানুষ যখন শূদ্র (সমাজচ্যুত)

মানুষ যখন শূদ্র (সমাজচ্যুত)

রাজিব ও রাশেদ মাইকেলের আগে সংলাপ কক্ষে উপস্থিত হয়েছে, তাদের মাঝে আলোচনা চলছিল, রাজিব এ বলে কথা শুরু করলঃ

একটি বিষয়ে আমি কথা বলতে চাই, এ বিষয়ে ইসলামের ধারণা ও মতামত কি তা জানতে ইচ্ছা করে, কেননা এ বিষয়টি ও তা সম্পর্কে ইসলামের মতামতের সম্পর্ক রয়েছে।

রাশেদঃ হ্যাঁ, বল।

রাজিবঃ আমার দেশ ভারতে এক শ্রেণীর লোক আছে যাদেরকে বলা হতো ‘ শূদ্র’ (সমাজচ্যুত), বর্তমানে তাদেরকে হারিজান বা ভগবানের পুত্র বলা হয়, ভারতের ঐতিহাসিক নেতা মহাত্মা গান্ধী তাদেরকে এ নামে অভিহিত করেন। যদিও ভারত সরকার ১৯৪৯ সালে “শূদ্র”(সমাজচ্যুত) নামে ডাকতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন, তথাপি বাস্তবতা ও জরিপে দেখা যায় যে, “শূদ্র”(সমাজচ্যুত) গোষ্ঠী এখনও ভারতের গ্রামাঞ্চল ও ছোট ছোট শহরে বিদ্যমান রয়েছে।

রাশেদঃ কিন্তু এ “শূদ্র”(সমাজচ্যুত) গোষ্ঠীর কি সমস্যা?

রাজিবঃ এটা শুধু সমস্যাই নয়, বরং এটা মর্মান্তিক (ট্রাজেডি) ব্যাপার। মানবিক ট্রাজেডি যা সব ধরণের মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।

এসময় মাইকেল তার বন্ধুদের সাথে যোগ দিল। তাদেরকে অভিবাদন জানাল...

রাশেদঃ মাইকেল তোমাকে স্বাগতম, একটু আগে রাজিব আলোচনা শুরু করেছে, রাজিবের আলোচনা পরিপূর্ণ করার মাধ্যমে তুমি বিষয়টি বুঝতে পারবে.... রাজিব তুমি আলোচনা চালিয়ে যাও...

রাজিবঃ হিন্দু ধর্মানুযায়ী মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিভক্ত করা হয়েছে। সর্বোত্তম শ্রেণী হল ব্রাহ্মণ, তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী এরা ভগবান ব্রহ্ম তার মুখ থেকে সৃষ্টি হয়েছে, এদের মধ্য থেকে শিক্ষক, পুরোহিত ও বিচারক হবেন। এদের পরের স্তরে হল “ক্ষত্রিয়” যাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে স্রষ্টার বাহু থেকে। রাজ্যশাসন, রাজ্যরক্ষা এবং জনগণের নিরাপত্তা বিধান করা তাদের দায়িত্ব। গীতায় শ্রীকৃষ্ণের উক্তি অনুসারে যারা এরূপ গুণ ও কর্মের অধিকারী তারাই ক্ষত্রিয়। এদের পরে “বিষ্ণু” তাদেরকে ভগবানের রান থেকে সৃষ্টি হয়েছে। এরা কৃষি ও ব্যবসা করবে আর সম্পদ যোগাড় করবে ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে ব্যয় করবে। সর্বনিম্ন শ্রেণী হল ‘শূদ্র’, এদেরকে ভগবান পা থেকে সৃষ্টি করেছেন। জাত নিগ্রোদের সাথে, এদেরকে “শূদ্র”(সমাজচ্যুত) জাতি বলা হয়। এদের কাজ হল উপরোক্ত সম্মানিত তিন শ্রেণীর লোকদের সেবা করা, এদের পেশা হল ছোট খাট ও নোংরা কাজ করা।

রাশেদঃ তুমি কি বুঝাতে চেয়েছ তা আমি বুঝেছি...

রাজিবঃ দুঃখিত, তুমি এখনো বুঝতে পারনি।

মাইকেলঃ এর চেয়েও কি খারাপ অবস্থা আছে? এ স্তরভেদ কি এখনও বিদ্যমান রয়েছে?

রাজিবঃ হ্যাঁ, আমি রাশেদকে বলেছি যে, এ স্তরভেদে “শূদ্র”(সমাজচ্যুত) জাতির সাথে খারাপ আচরণ এখনও বিদ্যমান, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে। এদের সাথে আচরণ দেখে মনে হয়না যে এরা মানব জাতির কোন স্তরে আছে। খৃষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে হিন্দু শাস্ত্রের আইন মোতাবেক সর্বনিম্ন শ্রেণী হলো “শূদ্র”(সমাজচ্যুত) জাতি। এদের আইনের মধ্যে একটা হলঃ যে কেউ “শূদ্র”(সমাজচ্যুত) জাতিকে দ্বীনের বিষয়ে কিছু শিক্ষা দিলে সেও ঐ “শূদ্রর” সাথে জাহান্নামে যাবে। “শূদ্ররা” শহরের বাহিরে বসবাস করবে, ভাঙ্গা পাত্র ব্যতিত অন্য কোন ভাল পাত্র ব্যবহার করতে পারবেনা। তারা কুকুর ও গাধা ছাড়া অন্য কোন প্রাণীর মালিক হতে পারবেনা। মৃত্যু ব্যক্তিদের পোশাক ছাড়া অন্য পোশাক তারা পরিধান করতে পারবেনা। সর্বদা খালি পায়ে হাঁটবে, নারীরা লৌহের অলঙ্কার ব্যবহার করবে, তাদের যাবতীয় সম্পর্ক তাদের মাঝেই সীমিত থাকবে, তারা নিজেদের মাঝে বিবাহ শাদীতে আবদ্ধ হবে (অন্য কোন শ্রেণীর সাথে বিবাহ শাদী বৈধ নয়)। তাদের আইনে আরো বলা হয়েছেঃ

-যা এখনও ভারতীয় সমাজে বিদ্যমান- কোন “শূদ্র” যখন দ্বীনের ব্যপারে কথা বলবে তখন তার মুখে গরম তেল নিক্ষেপ করা হবে!! এর চেয়েও আরো আশ্চর্যের ব্যাপার হলো এখন ও গ্রামেগঞ্জে “শূদ্র”(সমাজচ্যুত) জাতিদের জন্য সকাল নয়টার আগে ও বিকাল তিনটার পরে বাহিরে বের হওয়া নিষেধ; কেননা সে সময় তাদের ছায়া লম্বা হয়, আর ব্রাহ্মণরা “শূদ্রদের” ছায়া অতিক্রম করলে নাপাক হয়ে যাবে। আর গোসল করে সে নাপাকি দূর করা পর্যন্ত ব্রাহ্মণরা তাদের খাবার ও পানীয় গ্রহণ করতে পারেনা!!....

মাইকেলঃ কান্ডহীন ব্যাপার! এসব কি এ যুগেও আছে?! ভারতীয় সমাজে তাদের সংখ্যা শতকরা কত হবে?

রাজিবঃ “শূদ্র”(সমাজচ্যুত) জাতিরা ভারতের মোট জনসংখ্যার ৪৫%, অর্থাৎ ৮০% হিন্দুর মধ্যে তারা ৪৫%, অন্যদিকে হিন্দুদের অন্যান্য তিন শ্রেণী হল ১১% ।

রাশেদঃ কিন্তু তুমি বলেছ যে, গত শতকের চল্লিশের দশকে ভারত সরকার “শূদ্র”(সমাজচ্যুত) জাতিকে এ নামে ডাকতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তাহলে তো তাদের সাথে এ সব আচরণও করা নিষেধ। আর এগুলো আইনের মাধ্যমে হওয়া উচিত।

রাজিবঃ তোমার কথা সঠিক, কিন্তু সমস্যা হলো পবিত্র জাতি ও অপবিত্র জাতি হিসেবে শ্রেণী বিন্যাস ও মানব জাতির মাঝে এ মূলনীতির উপর ভিত্তি করে পার্থক্য করা। এটাকে হিন্দু ধর্মের অন্যতম মূলনীতি হিসেবে গন্য করা হয়। তারা হিন্দু জাতি ছাড়া অন্যদেরকে এবং তাদের মাঝে উক্ত তিন উচ্চ শ্রেণীর লোক ছাড়া বাকিদেরকে নোংরা ও অপবিত্র মনে করে।

রাশেদঃ তাদের এ আইন অন্যায় । এতে মানুষের মনুষ্যত্বকে অপমান করা হয় এবং এমন বিষয়ের ভিত্তিতে মানুষের মাঝে পার্থক্য করা হয় যাতে মানুষের হাত নেই। কিন্তু তুমি যা উল্লেখ করেছে তার সাথে ইসলামের ধারনার সাথে কি সম্পর্ক?

রাজিবঃ সম্পর্ক হলো অনেক “শূদ্র”(সমাজচ্যুত) জাতি বিশেষ করে তাদের ব্যাপারে পূর্বোল্লিখিত নিষেধাজ্ঞা আইন জারি করার আগে অন্যান্য ধর্মে দীক্ষিত না হয়ে শুধু ইসলামে দীক্ষিত হয়েছেন; যদিও তারা খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বী ইংরেজদের উপনিবেশে বসবাস করত এবং যদিও ইংরেজরা মানুষকে খৃস্টান ধর্মে দীক্ষিত করতে অনেক মিশনারি পাঠিয়েছে।

রাশেদঃ সম্ভবত ইসলাম মানুষকে যে সম্মান দেয় তা তারা বুঝতে পেরেছে। যারাই ইসলামের বাস্তবতা, মানবাধিকার এবং ছোট বড়, ধনী গরিব সকলের মাঝে সমঅধিকার ও স্বাধীনতা বুঝতে পারবে তারাই এ ধর্মের অনুগত হয়ে দীক্ষিত হবে... আমার মনে হয় তারা মুসলমানদের সাথে বসবাসের কারণে এ সব কিছু বুঝতে পেরেছে (ফলে ইসলাম গ্রহণ করেছেন)।

মাইকেলঃ তুমি বুঝাতে চাচ্ছ যে, ইসলাম স্বাধীনতা ও মানবাধিকারকে সম্মান করে? ... স্বাধীনতা ও মানবাধিকার কোন ধর্মের মাধ্যমে জানা জায়নি, বরং এ সবের ভিত্তি স্থাপন করেছেন পশ্চিমা দার্শনিক ও গবেষকরা। আর বিভিন্ন জাতি অত্যাচার, নির্যাতন, অধিকার ও স্বাধীনতা হরণের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রাম করতে গিয়ে এসব আঁকড়ে ধরেছে। এসব অধিকার ইসলামে নেই। ইসলামে কোথায় ধর্ম বিশ্বাসের স্বাধীনতা? আর কোথায় ইসলাম থেকে ধর্মান্তরিত হওয়ার অধিকার? কোথায় বাক স্বাধীনতা? কোথায় নারীর অধিকার? বাস্তবতাকে গোপন করে তুমি তোমার ধর্মের ব্যাপারে এত কঠোর বিশ্বাসী হইওনা....।

রাশেদঃ বন্ধু তুমি অনেক দীর্ঘ আলোচনার পথ উন্মুক্ত করলে। কিন্তু আমি একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম তুমি সুনিশ্চিত বিজয়ীর ভাষায় কথা বললে, যেন পশ্চিমা সমাজ মানবাধিকারে অনুসরনীয় (মডেল) পর্যায়ে পৌঁছে গেছে.... যদি তারা এ স্থানে পৌঁছেই যায় তবে তুমি ঐ সব দণ্ডবিধির কি ব্যাখ্যা করবে যা ইউরোপের বিভিন্ন চিন্তাবিদ, লেখক ও ঐতিহাসিকের বিরুদ্ধে দেয়া হয়েছিল, শুধু মাত্র হলোকস্ট (জার্মান বাহিনী কর্তৃক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদী ধর্মাবলম্বীদের উপর চালানো গণহত্যা) হত্যাকান্ডের ব্যাপারে তাদের সন্দেহ বা মৃত্যু সংখ্যা আরো অনেক কম বলে মতামত দেয়ার কারণে। এগুলো কি তথ্য ও গবেষণার মাধ্যমে সত্যতায় পৌঁছতে বাঁধা নয়? স্বাধীন চিন্তা গবেষণা, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও বাক স্বাধীনতার পথে বাঁধা নয়? বৃটিশ রাজতন্ত্রে কেউ কি গণতান্ত্রিক দল বা জার্মানে নাৎসি দল গঠন করার অধিকার আছে? বরং বৃটেনে আমি একজন মুসলমান হিসেবে আইনগতভাবে দ্বিতীয় বিবাহ করতে পারব? যদিও আমার ধর্ম এ ব্যাপারে আমাকে অধিকার দিয়েছে। সরকার কি এ সব অধিকার ও স্বাধীনতার ব্যাপারে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে না?

মাইকেলঃ এ সব স্বাধীনতা ও অধিকার মূলত মানবাধিকারের সাথে সাংঘর্ষিক। এ সব অধিকার স্থিতিশীল, সংগঠিত এবং আইন ওবিধিবিধানের মাধ্যমে লিখিত, তাই সকলকে তা মানতে হবে। হলোকস্ট হত্যাকান্ডের ব্যাপারে সন্দেহ করা ইহুদী বিদ্বেষের সাথে যুক্ত। ইহা জাতিবিদ্বেষ যা শুধুমাত্র ঘৃণা ছড়াবে। এমনিভাবে ইহা ভ্রাতৃত্ব ও সমঅধিকারের বিপরীত। ইহা চিরস্থায়ী ও ধর্মীয় মহাপবিত্রতা যা রূপান্তর বা অস্বীকার করা যায়না, যদিও এতে অন্যের স্বাধীনতার সীমাবদ্ধ হয়। এমনিভাবে তোমার উল্লেখিত ঐ সব দেশে দল গঠনের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এবং একাধিক বিবাহ বিশ্বাসের স্বাধীনতার অধিকারের আওতায় পড়ে না । যেহেতু এগুলো আবেগ এবং ব্যক্তি বিবেকের সীমানা বহির্ভূত। কেননা ইহা আইন, সামাজিক অঙ্গিকার ও যে সংবিধানের উপর অধিকাংশ লোক একমত তা লঙ্ঘন করার নামান্তর। এছাড়াও এতে অন্যের অধিকারের উপর সীমালঙ্ঘন( যদিও মহিলা রাজি থাকে)। তবে বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়া অন্য নারী রাজি থাকলে তার সাথে যৌন সম্পর্ক করা বৈধ।

রাশেদঃ খুবই সুন্দর..... তাহলে আমি যেগুলো অন্যায়, অধিকার ও স্বাধীনতার বাঁধা বলে মনে করি সেগুলোকে তুমি মনে করছ আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও সংগঠিত এবং এতে কোন জুলুম নেই। আর ইহাই হুবহু ভারতের হিন্দু ধর্ম গুরুদের দ্বারা হচ্ছে যা আমাদের বন্ধু রাজিব উল্লেখ করেছ। তুমি কি মনে কর তারা একে অন্যের অধিকারের উপর সীমালঙ্ঘন মনে করে? অবশ্যই না...।

রাজিবঃ তোমার কথায় মনে হচ্ছে তারা যে শ্রেণী বিন্যাসের অনুশীলন করে তা সঠিক ও অন্যান্য শ্রেণীর থেকে তারা মর্যাদাপূর্ণ।

রাশেদঃ মোটেই না...... তবে আমার উদ্দেশ্য হলো যে, আমরা অধিকার ও স্বাধীনতাকে মূল্যবোধ এবং সাধারণ আইনের কাঠামো হতে আলাদা করতে পারিনা।আমরা যখন কারো অধিকার ও স্বাধীনতার কথা বিবেচনা করব তখন মূল্যবোধ ও মৌলিক নীতির দিকে দেখব, মানুষ কি অনুশীলন করে বা কিভাবে তা বাস্তবায়ন করে তা লক্ষ্য করব না। যখন আমরা এ ব্যাপারে একমত হলাম তখন দেখব যে, মানবাধিকার ও স্বাধীনতার ব্যাপারে ইসলামের ভাবধারা ও পশ্চিমা ভাবধারার মাঝে ব্যাপক মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। এসব পার্থক্য মূলত মানুষের মূল উপাদান এবং অধিকার ও স্বাধীনতার অর্থের ব্যাপারে মতপার্থক্যের কারণে হয়েছে। কেননা, মানুষ, জগত ও জীবনের ব্যাপারে দুটি দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য রয়েছে। আর ইহাই আমার বন্ধু মাইকেলের ব্যাপারে হয়েছে যখন সে দ্বীন, ভ্রাতৃত্ব, সমতা ইত্যাদি বাদ দিয়ে পশ্চিমা সমাজ ব্যবস্থার চিন্তাধারায় অধিকার ও স্বাধীনতার ব্যাখ্যা দিয়েছে। আর এগুলোকে স্থায়ী ও মহাপবিত্র বলেছে। অথচ ইসলামে এ সব ভাবধারার ভিন্ন অর্থ রয়েছে।

আমরা যখন ইসলামে মানবাধিকারের কথা আলোচনা করব তখন দেখব ইহা ধর্মীয় ভাবেই সমাজের সকলের অত্যাবশ্যকীয় চাহিদা পূরণ করেছে। ইসলাম অধিকারের জন্য সাধারণ নিয়মনীতি, দয়া ও ভাল আচরণ ইত্যাদি সীমারেখা তৈরি করেছে, এছাড়াও আইনি ব্যবস্থাপনা রয়েছে। বরং ইসলামে অধিকার শুধু মানুষের জন্য সীমাবদ্ধ নয়, অন্যান্য প্রাণীর জন্যও রয়েছে অধিকার।

মাইকেলঃ তোমাদের ধর্মে প্রাণীদের জন্য অধিকার আছে তা আমি জানতাম না।

রাশেদঃ যেসব প্রাণী ক্ষতি করেনা বা যেগুলোর ক্ষতি করার সম্ভাবনা নেই এমনকোন প্রাণীকে কষ্ট দেয়া ইসলামে নিষেধ। নিজেদের আনন্দ ও খাম খেয়ালীর জন্য প্রাণী হত্যা করা নিষেধ, যেমনটা শুটিং বা কুস্তি খেলার সময় হয়ে থাকে। খাওয়া ছাড়া অন্য কোন কাজে প্রাণী জবাই করতে নিষেধ করেছে। মুসলমান যখন প্রাণী জবাই করবে তখন তার স্রষ্টার অনুমতিতে ও তার নামে এবং তার দেয়া পদ্ধতিতেই জবাই করবে। এছাড়াও পশু জবাইয়ের সময় অনেক নিয়মকানুনের দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়, যেসব নিয়মের প্রতি খোদার বিধান থেকে বিমূখদেরকে মানুষ জবাই করার ক্ষেত্রেও লক্ষ্য রাখতে দেখা যায়না । যেমনঃ পশুর সামনে ছুরি ধারালো না করা, এক পশুর সামনে অন্য পশু জবাই না করা.... তুমি কি মনে কর, আর কোন ধর্ম প্রানীকে এমন অধিকার দিয়েছে যা মানবাধিকারকে পাকাপোক্ত করে??!

রাজিবঃ আমার মনে হয় অন্য এক সময় এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা দরকার।




Tags: