আমাকে একটু বলতে সুযোগ দাও!!

আমাকে একটু বলতে সুযোগ দাও!!

আমাকে একটু বলতে সুযোগ দাও!!

তিন বন্ধুর নির্ধারিত সময়ের আগেই রাশেদ প্রস্তুতি নিয়ে তার কম্পিউটারে রাজিব ও মাইকেলের অপেক্ষা করছিল। একটু পরেই এক এক করে তাদের দুজনকে দেখা গেলো। অভিবাদন বিনিময়ের পরে রাশেদ বলতে লাগলঃ

রাজিব তুমি গতকালকের আলোচনায় বলেছিলে সময়ানুবর্তীতা ছাড়াও মুসলমানদের আচার আচরণ সম্পর্কে তোমার আরো কিছু কথা আছে।

রাজিবঃ হ্যাঁ, আমি লক্ষ্য করছি তোমরা অন্যের সাথে আচরনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের প্রতি লক্ষ্য না রাখা ছাড়াও আচার আচরণের অন্যান্য দিকেও ভ্রুক্ষেপ করনা।

রাশেদঃ কিভাবে? তুমি কি আমার মধ্যে খারাপ আচরণ বা সীমালঙ্ঘনের কিছু পেয়েছ?

রাজিবঃ না, স্যরি, আসলে আমি বিশেষ করে তোমাকে উদ্দেশ্য করিনি। মূলত এটা বাস্তবিকে অনেকের মধ্যে পাওয়া যায়। আমি একটি রেষ্টুরেণ্টে নোটিশ বোর্ডে লেখা দেখেছিঃ “কুকুর ও আরবদের প্রবেশ নিষেধ”! লেখাটি আমার কাছে খুবই খারাপ লাগায় মালিকের সাথে কথা বললাম। তাকে এ লেখার কারন জিজ্ঞেস করলাম। যদিও তার এ ধরণের আচরণে অহংকার ও দম্ভ প্রকাশ পায়, তথাপি সে কিছু যৌক্তিক কারন উল্লেখ করেছিল। সে বললঃ তার রেস্টুরেন্টটি খুবই উন্নতমানের, আমির, মন্ত্রী ও বড় বড় ব্যক্তিত্ব এখানে আসে। ইতিপূর্বে সে কিছু আরব যুবকদেরকে এখানে আসতে অনুমতি দিত, কিন্তু তারা হোটেল ও কর্তৃপক্ষের সাথে খুবই খারাপ ব্যবহার করত।

একবার একদল আরব যুবক কর্মচারীদের নিষেধ সত্বেও টেবিলগুলো তাদের ইচ্ছামত সরিয়ে ফেলল।এতে হোটেলে বিশৃঙ্খলা ও ঝামেলা দেখা দেয়।

আরেকবার তদের নিজেদের মাঝে ঝগড়া বাঁধে, তারা উঁচু স্বরে চিৎকার ও চেঁচামেচি করতে থাকে।

কেউ কেউ থালার ভেতর হাতের বিশ্রীভাবে আঙ্গুলি ডুবিয়ে দিত, যা অন্যদের কাছে ঘৃনার উদ্রেক করত ।

এমনকি তাদের কেউ কেউ কাঁটা চামুচ ও ছুরি দিয়ে পিঠ চুলকাতো।

সে আরো বললঃ তাদের এ সব খারাপ আচরনের ফলে সে অনেক বড় বড় গ্রাহক হারিয়েছে, তাই আরবদেরকে হোটেলে প্রবেশে নিষেধ করার সিদ্ধান্ত নেন।

রাশেদঃ তুমি যা বলেছ তা অনেকটাই সঠিক। কিন্তু আমি ইতিপূর্বে তোমাদেরকে যা বলেছিলাম যে, আমরা নিজেরাই নিজেদের সাথে খারাপ ব্যবহার করি, ফলে অন্যকে আমাদের সম্পর্কে খারাপ ভাবার সুযোগ করে দেই। তবে এ সব খারাপ আচরনকে ইসলামের সাথে সম্পর্ক করার ব্যাপারে তোমাদেরকে আরেকবার সংশোধন করে দিচ্ছি।

মাইকেলঃ তুমি তাহলে এসব আচরনের ক্ষেত্রেও পরিবেশের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার কথা বলবে?

রাশেদঃ হ্যাঁ, পরিবেশের প্রভাবকে আমরা অস্বীকার করতে পারিনা। এছাড়াও এ ধরনের যুবকদের লালনপালনে ত্রুটির ব্যাপারটাও এখানে উল্লেখ করতে হবে।

মাইকেলঃ আমি লালনপালনে ত্রুটির ব্যাপারটি বুঝেছি, কিন্তু এসব ক্ষেত্রে পরিবেশের দ্বারা প্রভাবের ব্যাপারটি বুঝিনাই।

রাশেদঃ ব্যাপারটি বুঝার জন্য আমি তোমাকে একটা উদাহরণ দিচ্ছিঃ যেমন ধর তোমরা যে দেশে বাস কর তা অত্যন্ত ঠাণ্ডা ও বরফময় অঞ্চল, শীতকাল অনেক দীর্ঘ ও কনকনে ঠাণ্ডা। বৃষ্টিপাত, বরফ ও ঠাণ্ডা বাতাস আরো শীত বাড়িয়ে দেয়। এ ধরণের আবহাওয়ায় মানুষ পূর্বপ্রস্তুতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিয়ে বসবাস করতে পারেনা। এ জন্য পরিস্থিতি অনুযায়ী গৃহ নির্মান করা জরুরী। এ সব কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে খুব সুক্ষ্মভাবে সুন্দর করে কাজ করতে হয়। যেমন ছাদ, জানালা ইত্যাদি সুক্ষ্মভাবে তৈরি করতে হয় যাতে পানি বা ঠাণ্ডা বাতাস ঢুকতে না পারে। আবার বছরের অন্যান্য ঋতুর সাথেও মিল রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হয়। এ সব কিছু মানুষের আচার আচরনের মধ্যে সুক্ষ্মতা, শৃঙ্খলা ও পরিকল্পনার গুণাবলী নিয়ে আসে।

অন্যদিকে আমাদের দেশে এ সব কঠিন আবহাওয়া ও পরিস্থিতি পাওয়া যায়না। বেঁচে থাকার জন্য মানুষ এ ধরণের আচরনের প্রয়োজন বোধ করেনা। যখন এসব প্রভাবের কথা বাদ দেয়া হবে তখন অনেকের মধ্যে বিশৃঙ্খলার দোষটি দেখা দিবে। আবার একথাও ভুলে গেলে হবেনা যে, আমাদের পরিবেশ অনেকটাই উষ্ণাঞ্চলে অবস্থিত, যা শুষ্কতা বহন করে, এতে মানুষের অনুভুতিতেও শুষ্কতা নিয়ে আসে।

রাজিবঃ তাহলে এমন মানুষকে কি আমরা পরিবেশের অনুগত হিসেবে ছেড়ে রাখব? তাকে কোন আখলাক চরিত্র ও শৃঙ্খলা শেখানো হবেনা? তাকে কি আমরা এমন সুযোগ দিয়ে রাখব, যেন সে মানুষের সাথে অসুন্দর আচরন করে বিশৃঙ্খল ভাবে জীবন যাপন করে ?

রাশেদঃ আসলে ব্যাপারটি এ রকম নয়। আমি শুধু এ সব আচরনের আসল কারনগুলো উদ্ঘাটন করার চেষ্টা করেছি।

রাজিবঃ আমরা যখন পাশ্চাত্য এবং প্রাচ্য বা মুসলমান জাতির মাঝে পরিবেশের কারনে অনেক ভিন্নতা পাই তাহলে দ্বীনের মাঝেও পরিবেশের কারনে বিভিন্ন পার্থক্য পাওয়া স্বাভাবিক। তাহলে ইসলাম কেন এ সব খারাপ আচরনের কারন হবেনা?!

রাশেদঃ ইসলাম মানুষের জীবন ও তার সময়কে সুশৃঙ্খল করেছে, যাতে তার সব কাজ আল্লাহর ইবাদত হয়ে যায়। (ইবাদতের প্রশস্ত অর্থে, যা ইতিপূর্বে আলোচনা করেছি)। অনেকেই জানেনা যে, শিষ্টাচারের তত্ত্ব অনেকটাই ইসলাম ধর্ম দ্বারা সাব্যস্ত, যা মুসলমানের মাধ্যমে স্পেনে পৌঁছেছিল। স্পেন পরাজয়ের পর মুসলমানদের থেকে এ জ্ঞান অন্যান্যরা গ্রহন করে। অনেক দেশই এ ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়, যেমনঃ ফ্রান্স, স্পেন, বৃটেন। তারা এটি সামনে এগিয়ে নেয়, অন্যান্য দিকে এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা সংযোগ করে, ফলে বর্তমান অবস্থায় এসে দাঁড়ায়।

মাইকেল (হেসে) তোমরা মুসলমানেরা ধর্মীয় গোঁড়ামির কারনে যে কোন ভাল কাজ তোমাদের ধর্মের দিকে সম্পৃক্ত করে দাও... আমি তোমাকে এ দাবীর পক্ষ্যে দলিল পেশ করতে বলবনা, কেননা আমি জানি এটি অনেক দীর্ঘ আলোচনার বিষয়, তবে আমি এ ব্যাপারে তোমাকে ইসলামের বিধি বিধান ও আইনগুলো পেশ করতে অনুরোধ করব।

রাশেদঃ ইসলাম মানব জীবনের সকল ক্ষেত্রে ব্যক্তির আখলাক চরিত্র ও আচার ব্যবহারের সুষ্ঠ বিধান করেছে। কোরআন ও হাদিসে শিষ্টাচার সম্পর্কে অনেক বিধি বিধান আছে যা দ্বারা মানুষের সাথে আচার আচরনের শিল্প (শিষ্টাচার) রচনা করা যায়।

মাইকেলঃ দোস্ত, এটা সাধারণ কথা, তোমার কথার সত্যতা প্রমানে উদাহরণ পেশ কর।

রাশেদঃ আমার কথা আরো স্পষ্ট করতে উদাহরণ পেশ করব। যেমন, আমরা স্ত্রী ও সন্তানদের সাথে রাসুল (সাঃ) এর আচরণ ও ব্যবহার দেখতে পাই।

আমরা যখন কোন ব্যক্তিকে তার স্ত্রীর জন্য গাড়ির দরজা খুলে দিতে দেখি তখন আমরা তাকে অত্যন্ত বিনয়ী ও ভদ্র মনে করি। কিন্তু রাসুল (সাঃ) দুহাত জমিনে বিছিয়ে বসে তার স্ত্রীকে তার পায়ের উপর দাঁড়িয়ে উটে সাওয়ার হতে সাহায্য করতেন।

তিনি (সাঃ) স্ত্রী, শিশু ও খাদেমগনের সাথে পূর্ন দয়া, মায়া, ধৈর্য্য ও ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে আচরণ করতেন। একদা রাসুল (সাঃ) জমিনে সিজদারত ছিলেন, তিনি মুসলমানদেরকে নিয়ে নামাজ পড়ছিলেন, তাঁর এক নাতী এসে তাঁর পিঠে চড়লেন, এতে রাসুল (সাঃ) ততক্ষণ নড়াচড়া করলেন না যতক্ষণ না ছোট শিশুটি তাঁর পিঠ থেকে নেমেছে।

ইসলাম কোমলতা ও নম্রতার দিকে আহবান করেছে। রাসুল (সাঃ) এ গুনের অধিকারী ছিলেন। রাসুল (সাঃ) একজন মহান নবী ও ইসলামী রাষ্টের প্রধান হওয়া সত্বেও তিনি খুবই নম্র ছিলেন। খাদেমদের সাথে রাসুল (সাঃ) এর অধিক নম্রতার কারনে তিনি নিজের কাপড় নিজেই ধৌত করতেন। তিনি তাঁর খাদেমকেসাধ্যের অধিক কাজ দিতেননা। কেউ সাহায্য চাইলে তাকে সাহায্য করতেন। তাঁর খুবই মনুষ্যত্ব বোধ ছিল, এমনকি অমুসলিমদের সাথেও। একদা তাঁর পাশ দিয়ে এক ইহুদির জানাযা যাচ্ছিল, এতে তিনি দাঁড়ালেন। তাঁর আসে পাশে সবাই আশ্চর্যান্বিত হলে তিনি বললেনঃ মৃত্যু ব্যক্তির সম্মানের ক্ষেত্রে মানুষের মাঝে ধর্ম ভেদে কোন পার্থক্য নেই।

বরং ইসলাম মানুষের হাঁটার পদ্ধতিকেও তাঁর আচরণ ও চরিত্রের সাথে সম্পৃক্ত করেছে। আল কোরআন মানুষের হাঁটার নিয়ম নীতি নির্ধারিত করে দিয়েছে। আর তা হলো চলার সময় মাথা এত বেশি উঁচু না করা, যাতে মানুষের উপরে অহংকার প্রকাশ পায়। আবার এতো নীচু ও নাহওয়া যাতে নিজেকে হীন মনে হয়।

আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ “অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না। পদচারণায় মধ্যবর্তিতা অবলম্বন কর এবং কন্ঠস্বর নীচু কর। নিঃসন্দেহে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর”। (সুরা লোকমানঃ ১৮-১৯)।

রাজিবঃ আমি কি সে রেস্টুরেন্টের মালিকের সাথে দেখা হলে তার কাছে ইসলামের এ চিত্র তুলে ধরব, যার ব্যাতিক্রম সে উক্ত যুবকদের মধ্যে দেখেছে?

রাশেদঃ তোমাকে ইসলামের কিছু নিয়ম নীতি ও শিষ্টাচার সম্পর্কে বলি, যা সে সব যুবকেরা বা অন্যেরা সেখানে বা অন্য কোনখানে যে খারাপ আচরণ করছে তার সাথে সংশ্লিষ্ট।

এ সব শিষ্টাচারের মধ্যে রয়েছেঃ অন্যের সাথে দেখা হলে সালাম বা অভিবাদন করতে ইসলাম নির্দেশ দিয়েছে। সমাজে সালাম ব্যাপকভাবে বিস্তার ছাড়াও ইসলাম সালামকে ভালবাসার অন্যতম কারন বলে আখ্যায়িত করেছে। সালামের জবাব দেয়াকে ওয়াজিব করেছে, ইহা শুধু সামাজিক শিষ্টাচারই নয়। এমনিভাবে ইসলাম খাবার গ্রহণকারীকে সালাম দিতে নিষেধ করেছে, যখন তার মুখে খাবার থাকে। এমনিভাবে ঘুমাতে শুরু করছে এমন ব্যক্তিকে সালাম দিতে নিষেধ করা হয়েছে, ঘুমন্ত ব্যক্তির সামনে আওয়াজ নিম্ন করার ব্যাপারে সতর্ক করেছে।

প্রয়োজন ছাড়া আওয়াজ উঁচু করাকে ইসলাম অপছন্দ করে।

আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ “এবং কন্ঠস্বর নীচু কর। নিঃসন্দেহে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর” (সুরা লোকমানঃ ১৯)।

বরং যে ব্যক্তি ঘরের বাহিরে তার সাথীকে চিৎকার করে ডাকাডাকি করে তাকে বেআক্কেল বলেছে।

আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ “যারা প্রাচীরের আড়াল থেকে আপনাকে উচুস্বরে ডাকে, তাদের অধিকাংশই অবুঝ” (সুরা হুজরাতঃ ৪)।

রাসুল (সাঃ) কাউকে চিৎকার করে ডাকেননি, তিনি কখনও স্বর উঁচু করেননি।

ইসলাম সবখানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে আহবান করেছে। সভা, খাবার টেবিল, ঘর, ঘরের বাইরে সবখানে পরিষ্কার থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। আহার ও পানের ক্ষেত্রে কতিপয় আদব কায়েদা নির্ধারন করে দিয়েছে। মানবজাতি এর আগে খাবারে জিনিস পত্র যেমনঃ চামুচ, কাঁঠি ইত্যাদি সম্পর্কে জানতনা। তাদের কাছে খাবারের থালা বাসনও পর্যাপ্ত ছিলনা। রাসুল (সাঃ) তিন আঙ্গুলের অধিক আঙ্গুল ব্যবহার করে খেতে নিষেধ করেছেন, খাবার গ্রহণকারীকে হাত দিয়ে প্লেটে ঘাঁটাঘাঁটি করতে নিষেধ করেছেন, বরং তার সামনে থেকে খেতে বলেছেন। এক নিঃশ্বাসে পানি পান করতে নিষেধ করেছেন, বরং তিন বার শ্বাস নিয়ে পানি পান করতে বলেছেন। খাদ্য পানীয় দিয়ে পেট পুরোপুরি ভর্তি করতে নিষেধ করেছেন। খাবারের সময় সামাজিক ও আবেগের মাত্রার দিকে খেয়াল রেখেছেন। খাবারকে ব্যক্তি ও সমাজের মধ্যে ভালবাসা ও দয়া মায়ার অসিলা করেছেন। মেহমানের সাথে খাবারের সময় কিছু খোশ গল্প করতে উৎসাহিত করেছেন যাতে সে খাবারের সময় লজ্জা না পায়। রাসুল (সাঃ) নিজ হাতে স্ত্রীদেরকে খাবার খাইয়ে দিতেন। তিনি (সাঃ) বলেছেনঃ “উত্তম সদকা হলঃ ব্যক্তি তার স্ত্রীর মুখে যে লোকমা খাবার খাইয়ে দেয়”। তাঁর স্ত্রী আয়েশা (রাঃ) গ্লাসের যেখানে মুখ দিয়ে পানি পান করেছেন তিনি সেখানে মুখ দিয়ে পানি পান করতেন। ইসলাম খাবার ও আল্লাহর ইবাদতের মাঝে সম্পর্ক স্থাপন করেছে। খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ ও শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলতে নির্দেশ দিয়েছে।

মাইকেলঃ রাশেদ আমাকে একটি কথা বলতে দাও, তোমাদের দ্বীন ও তোমাদের আচার আচরনের মধ্যে অনেক পার্থক্য। এ ক্ষেত্রে আমরা তোমাদের চেয়ে তোমাদের দ্বীনের শিক্ষার অনেকটা কাছাকাছি।

রাশেদঃ দুঃখজনক হলেও তোমার কথা সত্য।