রহমতের পথ

রহমতের পথ

রহমতের পথ

আল্লাহ দয়ালু

$Lauren_Booth.jpg*

লোরেন বোথ

ব্রিটিশ মানবাধিকার কর্মী
নিরাপত্তা, নিশ্চিন্ততা এবং শান্তি
“মুসলমানদের নামাজে রুকু ও সেজদায় নিরাপত্তা, নিশ্চিন্ততা ও শান্তিতে অন্তর ভরে যায়। প্রত্যেকে তা বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (পরম করুনাময় আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি) দিয়ে শুরু করে আর আসসালামু আলাইকুম (আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক) দিয়ে শেষ করে”।

আল কোরআনের প্রত্যেকটি সূরা আল্লাহর নাম রহমান (দয়াময়) রহীম (দয়ালু) দিয়ে শুরু হয়েছে। আল্লাহ তায়া’লা রহমত করাকে নিজের উপর আবশ্যক করে নিয়েছেন। তোমাদের পালনকর্তা রহমত করাকে নিজের উপর আবশ্যক করে নিয়েছেন। । (সূরা আন’আমঃ ৫৪) তাঁর রহমত সব কিছুকে ব্যাপ্তি করে রেখেছে। আমার রহমত সব কিছুকে ব্যাপ্তি করেছে। (সূরা আ’রাফঃ ১৫৬)

মানুষকে তিনি তাঁর রহমতের প্রতি উৎসাহিত করেছেন, তাদেরকে রহমতের সুসংবাদ দিয়েছেন এবং তাঁর রহমত হতে নিরাশ হতে সতর্ক করেছেন। বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা যুমারঃ ৫৩)

তিনি দয়ালু, ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তায়া’লা রাতের বেলায় দিনে কৃত অন্যায়ের তাওবা কবুল করতে হাত প্রশস্ত করে দেন (তাওবার দরজা খুলে দেন)। আবার দিনের বেলায় তাওবার দরজা খুলে দেন রাতে কৃত অন্যায়কারীর তাওবা কবুল করতে, যতক্ষণ না পশ্চিমাকাশে সূর্য উদিত হবে”। (মুসলিম শরিফ)। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর রবের পক্ষ থেকে আমাদেরকে বলেছেনঃ আল্লাহ তায়া’লা সৃষ্টিকুলকে সৃষ্টির আগে তাঁর কিতাবে লিখেছেন যে, আমার রহমত আমার ক্রোধের উপর জয়ী”। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর রবের পক্ষ থেকে আরো বলেছেনঃ “আল্লাহ তায়া’লা রহমতকে একশত ভাগে ভাগ করেছেন, তিনি তাঁর কাছে ৯৯ভাগ রেখে দিয়েছেন, আর পৃথিবীতে মাত্র একভাগ নাযিল করেছেন। ঐ একভাগের কারণেই সৃষ্ট জগত একে অন্যের উপর দয়া করে। এমনকি ঘোড়া তার বাচ্চার উপর থেকে পা তুলে নেয় এ ভয়ে যে, সে ব্যথা পাবে”। (বুখারী শরিফ)।

আল্লাহ তায়া’লা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছেন। আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্যে রহমত স্বরূপই প্রেরণ করেছি। (সূরা আম্বিয়াঃ ১০৭)

তাই তিনি তাঁকে সুমহান আখলাক দিয়ে সজ্জিত করেছেন। আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী। (সূরা ক্বালামঃ ৪)

এজন্যই রাসুলের সর্বোত্তম ও শ্রেষ্ঠতম আখলাক হলো রহমত। তা না হলে লোকজন তাঁর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত। আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ আল্লাহর রহমতেই আপনি তাদের জন্য কোমল হৃদয় হয়েছেন পক্ষান্তরে আপনি যদি রাগ ও কঠিন হৃদয় হতেন তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতো। (সূরা আলে ইমরানঃ ১৫৯)

বরং তিনি ছিলেন স্নেহশীল ও দয়াময়। উম্মতের দুঃখ-কষ্ট তাঁর পক্ষে সহ্য করা দুঃসহ। আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ তোমাদের কাছে এসেছে তোমাদের মধ্য থেকেই একজন রসূল। তোমাদের দুঃখ-কষ্ট তার পক্ষে দুঃসহ। তিনি তোমাদের মঙ্গলকামী, মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল,দয়াময়। (সূরা তাওবাঃ ১২৮)

$Berisha_Pennekmrt.jpg*

ব্রিশা ব্যাংকমার্ট

বৌদ্ধধর্ম থেকে ইসলামে রূপান্তরিত, থাই শিক্ষাবিদ
কোন ক্ষুধার্ত থাকবেনা
“ইসলামের মত অন্য কোন ধর্ম পাইনি যা যাকাতের পরিপূর্ণ বিধান প্রণয়ন করেছে। যে সব ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায় যাকাত উত্তোলন করা হয় তা দরিদ্রতা, অভাব ও গৃহহীনতা থেকে মুক্ত থাকে। আমি মনে করি, বিশ্বের সকলেই যদি ইসলামে দীক্ষিত হয়, তবে পৃথিবীর বুকে কোন ক্ষুধার্ত ও বঞ্চিত পাওয়া যাবে না”।

এ জন্যই দয়াময় ও দয়ালু মহান আল্লাহ তায়া’লার পক্ষ থেকে যে ইসলাম এসেছে, তামানব জাতির জন্য রহমত স্বরূপ। তাদেরকে দুঃখ, জুলুম, অত্যাচার, জোর জবরদস্তি, বিষণ্নতা, উদ্বেগ, বিশৃঙ্খলা, প্রতিশোধ, ক্রোধ, স্বৈরশাসন ও একনায়কতন্ত্র থেকে মুক্তি দিতে উম্মতের উপর দয়ালু একজন রাসুলের মাধ্যমে তা প্রেরণ করা হয়েছে; যিনি সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত স্বরূপ এসেছেন। আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্যে রহমত স্বরূপই প্রেরণ করেছি। (সূরা আম্বিয়াঃ ১০৭)

তিনি মুসলিম ও অমুসলিম সকলের জন্যই রহমত, অনুগত ও অবাধ্য, ছোট-বড়, নারী, পুরুষ, শিশু, ধনী, গরীব এককথায় সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য তিনি ছিলেন রহমত স্বরূপ।

ইসলাম বিশ্বের জন্য রহমত স্বরূপ

এ কারণে ইসলাম রহমতের আবেদন নিয়ে এসেছে, রহমতের জন্য উৎসাহ ও উপদেশ দিয়েছে। আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ অতঃপর তাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া, যারা ঈমান আনে এবং পরস্পরকে উপদেশ দেয় সবরের ও উপদেশ দেয় দয়ার। (সূরা বালাদঃ ১৭)

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যে মানুষের উপর দয়া করে না, আল্লাহ তায়া’লাও তার উপর দয়া করেন না”। (বুখারী ও মুসলিম)।

তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেছেনঃ “আল্লাহ তায়া’লা দয়ালুদের উপর দয়া ও অনুগ্রহ করেন। তোমরা জমিনবাসীকে দয়া কর, তাহলে যিনি আসমানে আছেন তিনি তোমাদের উপর দয়া করবেন। দয়া রহমান হতে উদগত। যে লোক দয়ার সম্পর্ক বজায় রাখে আল্লাহ তায়া’লাও তার সাথে নিজ সম্পর্ক বজায় রাখেন। আর যে লোক দয়ার সম্পর্ক ছিন্ন করে, আল্লাহ তায়া’লাও তার সাথে দয়ার সম্পর্ক ছিন্ন করেন”। (তিরমিজি)। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেনঃ “হতভাগা ছাড়া কারো থেকে রহমত উঠিয়ে নেয়া হয়না”। (তিরমিজি)। তাই আল্লাহ তায়া’লা রহমতের নির্দেশ দিয়েছেন, তিনি সচ্চরিত্র, উত্তম পথ, জীবন পদ্ধতি হিসেবে উহার প্রতি সাধারণভাবে উৎসাহিত করেছেন। শরিয়ত বিশেষ কতিপয় লোকদের সাথে সাথে রহমত করতে গুরুত্ব দিয়েছে। তন্মধ্যেঃ

যাদের জন্য রহমত

1.সাধারণ মানুষের সাথে দয়াঃ তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উম্মতের জন্য রহমত স্বরূপ ছিলেন, আল্লাহ তায়া’লা তাঁর দ্বারা মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে, দুঃখ-দুর্দশা থেকে সুখ-শান্তির পথে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু তাঁর রহমত শুধু মুসলমানদের মাঝেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং কাফেরদের জন্যও উন্মুক্ত ছিল। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কার অমুসলিমদের ব্যাপারে বলেছেনঃ “বরং আমি আশা করি আল্লাহ তাদের বংশধর থেকে এমন একজাতি সৃষ্টি করবেন যারা এক আল্লাহর ইবাদত করবে, তার সাথে শরিক করবেন না”। (বুখারী ও মুসলিম)। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওহুদের যুদ্ধে আহত হলে সাহাবারা তাঁকে বললেন, আপনি মুশরিকদের উপর বদদোয়া করুন। তখন তিনি বললেনঃ “হে আল্লাহ আপনি আমার জাতিকে হিদায়েত দান করুন, কেননা তারা না জেনে আমার সাথে এমন আচরণ করেছে”। অন্য রেওয়ায়েতে আছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলা হলো, আপনি মুশরিকদের উপর বদদোয়া করুন, তিনি বললেনঃ “আমি লা’নতকারী হিসেবে প্রেরিত হইনি, আমি রহমত স্বরূপ প্রেরিত হয়েছি”। (মুসলিম শরিফ)।

2.ছোটদের প্রতি স্নেহ ভালবাসাঃ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এক সাহাবী বলেছেন, আমরা ইব্রাহীমের (রাসুলের সন্তান) ইনতেকালের পরে রাসুলের সাথে প্রবেশ করলাম, আমরা দেখতে পেলাম, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চক্ষুদ্বয় ক্রন্দন করছে। তখন আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনিও (কাঁদতেছেন)? তিনি বললেনঃ হে ইবনে আউফ! ইহা হলো স্নেহ ভালবাসা। অতঃপর তিনি বললেনঃ নিশ্চয় চক্ষুদ্বয় সিক্ত হচ্ছে, অন্তর ভারাক্রান্ত হচ্ছে, আমাদের রবের সন্তুষ্টি ছাড়া কোন কথাই বলব না। হে ইব্রাহীম! নিশ্চয় তোমার বিচ্ছেদে আমরা দুঃখে ভারাক্রান্ত”। (বুখারী ও মুসলিম)। বরং তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উসামা ইবনে যায়েদকে এক রানে আর হাসান (রাঃ) কে অন্য রানে বসাতেন। অতঃপর তাদেরকে জড়িয়ে ধরে বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আপনি এদেরকে রহমত করুন, আমি এদেরকে ভালবাসি”। একদা এক ব্যক্তি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট প্রবেশ করে দেখল, তিনি হাসান বা হোসাইন (রাঃ) কে চুমো দিচ্ছেন। সে রাসুলকে বললেনঃ আপনারা সন্তানদেরকে চুমো খান?! আমার তো দশটি সন্তান আছে, আমি কখনও তাদেরকে চুমো খাইনি। তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ “যে দয়া করেনা, সে দয়া পায় ও না”।

3.দুর্বলদের প্রতি রহমতঃ একদা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে নববীতে ঝাড়ুদার এক মহিলাকে দেখতে না পেয়ে তিনি তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন, সাহাবাবীরা বললেনঃ তিনি মারা গেছেন। এতে তিনি বললেন, তোমরা কেন আমাকে জানালেনা? .... তার কবর কোথায় দেখাও। তারা তার কবর দেখালেন। অতঃপর তিনি তার কবরে জানাযা নামাজ পড়লেন। (বুখারী ও মুসলিম)। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খাদেম আনাস (রাঃ) বলেনঃ আমি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দশ বছর খেদতম করেছি, তিনি কখনও আমাকে উফ শন্দটিও বলেননি। কখনও বলেননি এটা কেন করেছ বা এটা কেন করোনি? (বুখারী শরিফ)। বরং বিশিষ্ট সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেছেনঃ একদা আমি আমার এক দাসকে প্রহর করেছিলাম, হঠাৎ আমার পিছন দিক থেকে শব্দ শুনতে পেলামঃ জেনে রাখ হে ইবনে মাসউদ! আল্লাহ তার পক্ষ হয়ে তোমার থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করতে অনেক বেশী শক্তিশালী। আমি পিছনে লক্ষ্য করতেই দেখলাম, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! সে আযাদ, আমি তাকে মুক্ত করে দিলাম। উত্তরে তিনি বললেন, যদি তুমি এ কাজ না করতে তাহলে জাহান্নামের আগুন তোমাকে স্পর্শ করতো। (মুসলিম শরিফ)

4.জীব জন্তুর প্রতি দয়াঃ একদা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি উটের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তিনি দেখলেন, উটটির পিঠ পেটের সাথে লেগে আছে। তিনি মালিককে বললেন, “তোমরা এ সব অবুঝ জীব জানোয়ারের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর। ন্যায়সঙ্গতভাবে ইহাতে আরোহণ কর, এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে এদেরকে খেতে দাও”। (আবু দাউদ)।

5.একদা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক আনসারীর বাগানের দেয়ালের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি একটি উট দেখতে পেলেন। উটটি রাসুলকে দেখে কান্না শুরু করে দিল, তার চক্ষু ভিজে গেল। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার কাছে গিয়ে ঘাড়ে হাত বিলিয়ে দিলেন। ফলে উটটি কান্না থামাল। অতঃপর তিনি বললেনঃ এ উটটির মালিক কে? তখন আনসারী এক যুবক এসে বলল, এটা আমার হে আল্লাহর রাসুল। তখন তিনি তাকে বললেনঃ তোমাকে আল্লাহ তায়া’লা এ সব চতুষ্পদ জন্তুর মালিক করেছে, তুমি কেন এ ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করোনা? কেননা উটটি আমার কাছে অভিযোগ করেছে যে, তুমি তাকে ক্ষুধার্ত রাখ আর বেশী পরিশ্রম করাও। (আবু দাউদ)।

6.এ সব ঘটনা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণের সামান্য নমুনা। তাছাড়া ইসলামে রহমতের আলো ও উহার বাস্তবায়ন অনেক, যা এ ধর্মের বৈশিষ্ট্য ও পদ্ধতি সুস্পষ্ট করে। এ সব রহমত অপমান ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য নয়, বরং ইহা সম্মান ও মর্যাদার রহমত।




Tags: