নারী হল রানী

নারী হল রানী

নারী হল রানী

রেল কিছুক্ষন চলার পর রাশেদ ও মাইকেল দু’বন্ধু সময় কাটানোর জন্য আবার কথা শুরু করল....

মাইকেলঃ আমরা আজ নারীর অধিকার সম্পর্কিত দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেছি, তাহলোঃ একাধিক বিবাহ ও হিজাব বা পর্দা। এ বিষয়ে আরো আলোচনা করলে কেমন হয়?

রাশেদঃ ভাল প্রস্তাব, এতে আমরা এ বিষয়েপুরোপুরি আলোচনা শেষ করতে পারব।

মাইকেলঃ এ বিষয়ে আমার বিবেকে যা প্রথমেই নাড়া দিয়ে উঠে সেটা হল নারীর ভূমিক; মুসলমানেরা কেন পুরুষের মত নারীদেরকেও জীবনের সব কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করায়না?

রাশেদঃ হে বন্ধু আমরা যখন বলেছি যে, মানুষের মাঝে সামগ্রীক ও জৈবিক দু’টি উপাদান রয়েছে, এর অর্থ এ নয় যে, এ সব বৈশিষ্ট্য, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, ফলাফল ইত্যাদি অন্যান্য জীব- জানোয়ারের মাঝেও পাওয়া যায়। এখানে অনেক বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে। আমরা দেখি মানুষের মাঝে যৌন উত্তেজনা অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে অনেক বেশি, কিন্তু তারা জানোয়ারের থেকে যৌন কাজে অনেক দুর্বল।

আর যখন আমরা লক্ষ্য করি যে নারীরা যৌন আকর্ষনের সাথে সাথে লজ্জা, ঢেকে রাখা ও নিজেকে আড়ালে রাখা ইত্যাদি স্বভাব দ্বারা গঠিত তখন এসব থেকে এটা বুঝা যায় যে,, যৌন উত্তেজনা ও আকর্ষন সৃষ্টির মূল লক্ষ্য হল স্বামী-স্ত্রীর মাঝে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থায়ী করা। যা শুধু শারীরিক যৌন কাজের জন্য নয়। এটাকেই পবিত্র কোরআন কখনো (সাকান) প্রশান্তি, কখনো (মাওদ্দা ও রাহমাহ) ভালবাসা ও রহমত ইত্যাদি রুপে আখ্যায়িত করেছে। এটা মনস্তাত্বিক দিক থেকে...ব আশা করি আমার কথা তোমার কাছে স্পষ্ট।

মাইকেলঃ মোটামুটি স্পষ্ট।

রাশেদঃ আর জীবতাত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলব, গবেষনায় দেখা গেছে যে, নারীরা সর্বক্ষেত্রে পুরুষ হতে ব্যতিক্রম। বহির্গত গঠন থেকে শুরু করে অভ্যন্তরীণ ধরন ও গঠন, শরীরের অনু পরমানু ও কোষ ইত্যাদি। নারীর শরীরের কোষগুলো নারীত্ব স্বভবমন্ডিত, তার শরীরের গঠন, ও তার পেশীবহুল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পুরুষের থেকে আলাদা। নারীর শরীরের গঠন প্রনালী সন্তান প্রসব ও লালন-পালনের জন্য উপযোগী করে বানানো হয়েছে। অর্থাৎ মার্তৃত্বের সব ধরনের উপাদান দিয়ে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। বয়ঃপ্রাপ্ত হলে তারা হায়েজের সম্মুখীন হন, প্রত্যেকটা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কার্যক্রমে প্রভাব ফেলে, বরং তাদের মানসিকতা , মেজাজ ও চিন্তার মধ্যেও প্রভাব ফেলে। এছাড়াও তাদের গর্ভধারণ, নেফাস ও সন্তানদের দুদ্ধপান করানোর কথা না হয় না-ই উল্লেখ করলাম।

বরং নারীর হরমোন ও মানষিকতা পুরুষের থেকে আলাদা। পুরুষের অগ্রগামীতা ও কঠোরতার বিপরীতে নারীর রয়েছে লজ্জাশীলতা ও কোমলতা।

অন্য দিকে, মানব সন্তান লালিত-পালিত হওয়ার জন্য জন্য কয়েক বছর পর্যন্ত বাবা-মায়ের প্রয়োজন যা অন্যান্য প্রাণীর জন্য দরকার হয়না। কেননা মানব সন্তান ধীরে ধীরে বড় হয়, ও আস্তে আস্তে নিজে চলা শিখে। তাই নারী-পুরুষের সম্পর্ক শুধু উভয়ে যৌনতৃপ্তির মাঝেই সীমাবদ্ধ না হয়ে জীবনে পরস্পর সাহায্য সহযোগিতার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে। এজন্যই অন্য সব প্রাণীর তুলনায় মানুষকে সন্তানের প্রতি সবচেয়ে বেশি ভালবাসা দান করা হয়েছে।

মাইকেলঃ এরপরে?

রাশেদঃ এসব থেকে সংক্ষেপে এটাই বোঝা যায় যে,, পরিবার হল মানব সমাজের স্বভাবগত সামাজিক কাঠামো। এ কাঠামো বা ইউনিটে আমরা প্রত্যেকের ভূমিকাস্পষ্ট করে নিতে পারি; এমন ভূমিকা যা পরিবারের উদ্দেশ্য, প্রকৃতি তথা প্রশান্তি,ভালোবাসা ও দয়া এবং প্রত্যেকের সামর্থের সাথে উপযুক্ত ও মানানসই হয়।,

মাইকেলঃ তুমি যা বুঝাতে চেয়েছ তা আমি বুঝেছি। তাহলে নারীর ভূমিকা হল ভালবাসার শক্তিকে প্রসার করা, পরিবারে আত্মিক প্রশান্তি বাস্তবায়ন করা ও স্বামী-সন্তানের দেখাশুনা করা।

রাশেদঃ ঠিক ধরেছ, আর পুরুষের ভূমিকা হল, পারিবারিক জীবনের সব ধরনের প্রয়োজনীয় উপাদানের যোগান দেয়া এবং কঠিন ও কষ্টকর পরিস্থিতিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া।

মাইকেলঃ কিন্তু এ দৃষ্টিতে তো আমরা সমাজের অর্ধেকসৃজনশক্তি হারাব।

রাশেদঃ বরং তার উল্টো। এ দৃষ্টিকোন দ্বারা আমরা সমাজের সবার দ্বারা পূর্ন লাভবান হব।, তবে প্রত্যেকের দ্বারা তার স্ব-স্ব কর্মক্ষত্রে ও পরিবশে। নারীরা যখন তাদের স্বভাবজাত কাজগুলো ফেলে কর্মক্ষত্রে পুরুষের সাথে ভীড় করে, তখন তার কাযে কৃতকার্য হতে পারেনা, এটা তার পরিবার ও স্বামীর অধিকারেও মন্দ প্রভাব ফেলে, ফলে সমাজের সর্বস্তরে তার মন্দ প্রভাবটি পড়ে। নারীরা বহুবার বাহিরের কাজ ওঘরের কাজ এবং সন্তান পালন ইত্যাদির মাঝে সমন্বয় করতে চেষ্টা করেছে, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। কেননা তখন তাকে একজন শান্ত স্ত্রী, ভালবাসায় পূর্ণ মা আবার কর্মঠ নারী হতে হয়, এতোগুলো কাজ একজনের দ্বারা কিভাবে সম্ভব? ফলে দেখা যায় যে, তার স্থানে অন্য একজনকে সে কাজ করতে হয়। কিন্তু অন্যজন তার মত বিশ্বস্ততার সাথে যথোপযুক্তভাবে তা করতে পারেনা।

আরো সংযোগ করলে বলতে পারি যে, নারীরা ঘরের বাহিরে পুরুষের সাথে কর্মক্ষেত্রে ভীড় করার ফলে তারা ইভটিজিং, ধর্ষণ, বিভিন্ন অপরাধ ও অপমানের সম্মুখীন হয়।

মাইকেলঃ আমরা যখন নারীর পারিবারিক ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করলাম তখন এটা আমাদেরকে অন্য একটি বিষয়ের কথা স্মরন করিয়ে দেয়।আর আমার মনে হয় সে ব্যাপারে পুরুষকে নারীর উপর আলাদা বৈশিষ্ট্য দেয়া হয়েছে। সে বিষয়টি হলঃ নারীর উপর পুরুষের অভিভাবকত্ব বা কর্তৃত্ব।

রাশেদঃ অভিভাবকত্ব বা কর্তৃত্ব দ্বারা পুরুষকে নারীর উপর আলাদা বৈশিষ্ট দেয়া হয়নি। বরং এটা একটা সামাজিক সংস্থার নিয়ম কানুন মাত্র, যাকে আমরা পরিবার বলি। যে কোন সংস্থায় প্রত্যেকে সদস্যের জন্য নির্ধারিত দায়িত্ব-কর্তব্য থাকে যা সদস্যদের যোগ্যতা, দক্ষতা হিসেবে বন্টন করা হয়ে থাকে। তাই যোগ্যতা অধিক হওয়ার ফলে পরিচালক হিসাবরক্ষক বা অন্য কোন কর্মচারীর চেয়ে উত্তম সম্মানিত ব্যক্তি নয়, বরং তিনি শুধু একজন পরিচালক মাত্র।

আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে আমরা এটা দেখতে পাই। যেমনঃ কোন সংস্থা বা কোম্পানি তাদের কোম্পানি পরিচালনার জন্য কিছু নিয়ম-কানুন করে থাকেন, যা কিছু করণীয় ও কিছু বর্জনীয়। অফিসিয়াল সুবিধা ও নিরাপত্তার জন্য যেমনঃ নির্দিষ্ট পোশাক পরিধানের নিয়ম, নিরাপত্তা-জনিত নিয়ম মানা, কখনো শারীরিক কসরত বাধ্যতা করা হয়, অথবা অফিস থেকে বিনা অনুমতিতে বের হওয়া নিষেধ করা হয়, বা অন্য কারো সাথে কাজ ছাড়া অন্য কাজ করতে মানা করা হয়। বরং কোন কোন কোম্পানিতে দেখা যায় কাজ ছেড়ে দেয়ার পর ও কর্মচারীর উপর কিছু শর্ত আরোপিত থাকে। এসব শর্তাবলী সকলের কাছেই পরিচিত, কেউই এটা অস্বীকার করতে পারেনা। কেউ একথাও বলেনা যে, এ সব শর্তাবলী মানুষের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে ও কর্মচারীকে জোরপুর্বক বাধ্য হয়ে কাজ করতে হয়। সবাই জানে এ সব স্পষ্ট নিয়ম-কানুন, যা সকলের নিকটই পরিচিত। এমনিভাবে এমন কোন সফল কোম্পানি পাওয়া যাবেনা যেখানে কোন দক্ষ পরিচালক নেই যার কিছু উপযুক্ত ক্ষমতা,দায়িত্ব-কর্তব্য ও জবাবদিহীতা থাকেনা।

এভাবে, পারিবারিক সংস্থাটির সফলতার জন্যও নিয়ম-কানুন আবশ্যক যা সকলে মেনে চলবে। এ সব নিয়মের মাঝে কিছু থাকবে করণীয় আবার কিছু বর্জনীয়। সেখানে একজন নেতা বা পরিচালকেরদরকার, যার কাছে দায়িত্বের উপযুক্ত কিছু ক্ষমতা থাকবে এবংতার থাকবে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা। তবে অবশ্যই এসব নিয়ম নীতি বাস্তবায়ন হবে পারিবারিক জীবনের মূলতন্ত্রের উপর,যা আমরা আলোচনা করেছি। আর তা হলো প্রশান্তি লাভের উদ্দেশ্যে পারস্পরিক ভালবাসা, ও দয়া-মায়া।

মাইকেলঃ যদি ব্যপারটা এমনই হয়, তবে পরিচালনার দায়িত্ব পুরুষের কেন? নারী কি পরিবারের পরিচালক হতে পারেনা? এতে কি সে সমান অধিকার হতে বঞ্ছিত নয়?

রাশেদঃ সমান অধিকার শব্দটির পরিবর্তে যদি ন্যায়বিচার শব্দ ব্যবহার কর তবে অধিক উত্তম। তবে আমি বলব, অধিকারের ক্ষেত্রে সমতা বা ন্যায়বিচার হয়ে থাকে। আর আমরা এখানে প্রত্যেকের ক্ষমতা ও দক্ষতা অনুযায়ী তার সামাজিক ভুমিকা ও কাজের ব্যাপারে আলোচনা করছি।

পারিবারিক সংস্থার ক্ষেত্রে আমরা বলেছিঃ নারী পুরুষ প্রত্যেকের আলাদা আলাদা ধরন, গঠন ও যোগ্যতা রয়েছে। এ সব যোগ্যতা ভিন্ন ভিন্ন সামাজিক কাজের জন্য উপযুক্ত। তোমার একথা মনে রাখতে হবে যে, পুরুষের পরিচালনার কারনে তাকে অনেক কষ্ট ও দায়িত্ব পালন করতে হয়, যা নারীর করতে হয়না। এ হিসেবে পরিচালনার ক্ষেত্রে তার দায়িত্বের পরিমান সম্মানিত হওয়ার চেয়ে অনেক বেশি। এতে বিশেষ দায়িত্বভার তার উপরে বর্তায়; যা পালন করতে গিয়ে অনেক দূরদর্শিতা, ধৈর্যের ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাড়াহুড়া না করার দক্ষতার প্রয়োজন হয়। তবে এর অর্থ এ নয় যে, মহিলাদের মতামত ও তাদের ব্যক্তিত্বকে উপেক্ষাও করা হবে; বরং তাদের মতামতও গ্রহণ করা হবে।

নারীরা এসব সামাজিক দায়িত্ব পালনে সক্ষম নয়। কেননা, নারীরা হল যেমন রাসুল সাঃ

বলেছেনঃ “জ্ঞান ও দ্বীনে অসম্পুর্ণ”।

মাইকেলঃ তারা অসম্পুর্ণ জ্ঞানের অধিকারী?! এ দৃষ্টিভঙ্গি নারীকে অপমানিত করে। কেননা নারীদের দক্ষতা ও জ্ঞানশক্তি অনেক ক্ষেত্রে বেশি প্রমাণিত হয়েছে, তারা বুদ্ধির পরীক্ষায় পুরুষের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।

রাশেদ (হেসে হেসে)ঃ বন্ধু,আর্শ্চযের বিষয় হল যাদেরই সাথে এ হাদিস নিয়ে আলোচনা করেছি তারা সকলেই তোমার মত করেই বুঝেছে। হে বন্ধু, এখানে আকল দ্বারা শুধু বুদ্ধিমত্তা উদ্দেশ্য নয়, বরং আকল বা জ্ঞান হলঃ নিজেকে সংযত রেখে এবং আবেগকে নিয়ন্ত্রন করে সঙ্কট ও সমালোচনামুখর পরিস্থিতিতে প্রত্যেক বস্তুর প্রকৃত বৈশিষ্ট্য জেনে সে অনুযায়ী হুকুম দেয়ার ক্ষমতা, সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার দক্ষতা।

অন্য কথায় বললেঃ আবেগ ও প্রবৃত্তির বিপরীতটা হল আকল বা জ্ঞান। একথা কেউই অস্বীকার করেনা যে, নারীরা প্রাকৃতিকভাবেই পুরুষের চেয়ে বেশি আবেগী এবং আবেগ দ্বারা বেশী প্রভাবিত হয়। এটা তাদের মানুষিক প্রকৃতি। তাদের সামাজিক দায়িত্বগুলোও তাদের স্বভাব-প্রকৃতি অনুযায়ী হওয়া দরকার। এ কারনেই হয়ত তালাকের মাধ্যমে পারিবারিক কাঠামো শেষ করে দেয়ার ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতাকে শর্তযুক্ত করা হয়েছে।

মাইকেলঃ আমরা যখন নারীর উপর জুলুম ও অধঃদৃষ্টির ব্যাপারে আলোচনা করলাম, এখন আমাদেরকে উত্তরাধিকারী সম্পত্তিতে তাদের অধিকার নিয়ে আলোচনা করা উচিত। নারীরা কেন পুরুষের চেয়ে অর্ধেক মীরাস বা সম্পত্তি পায়?!

রাশেদঃপ্রথমতঃ নারীরা সব অবস্থাতে পুরুষের চেয়ে অর্ধেক সম্পত্তি পায়না।

দ্বিতীয়তঃ মানুষের সম্মান বা মর্যাদা কাউকে বেশি কম দেয়ার সাথে সীমাবদ্ধ নয়। ন্যায়ভাবে বলতে গেলে সব অবস্থায় উভয়কে সম্পত্তির সমান ভাগ দেয়া ন্যায়বিচার নয়। কিন্তু অবস্থা ও পরিস্থিতি যখন এক হয় তখনই সমতা আবশ্যক।অর্থাৎ আমাদেরকে নারীর প্রকৃতি, জীবনসংসারে তার ভূমিকা ও দায়িত্ব -কর্তব্য এবং তার কর্তব্যের সাথে অধিকারের সামঞ্জস্যতা ইত্যাদি বিবেচনা করা উচিত।

উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে নারীরা যা পায় তার সবটা তার নিজেরই থেকে যায়। অন্যদিকে পুরুষেরা উত্তরাধিকার যা পায় তা তার নিজের জন্য, স্ত্রী-সন্তানের জন্য এবং তার অবিবাহিত ভাই-বোন, ও পিতামাতা যদি জীবিত থাকে তাদের সকলের জন্য ব্যয় করে। এ ছাড়াও সে স্ত্রীর জন্য উপহার স্বরূপ মোহর প্রদান করে থাকে, তার যাবতীয় দায়-দায়িত্ব, ব্যয়-ভার, তার সন্তনের যাবতীয় ব্যয়-ভার গ্রহণ করে থাকে। সে তার স্ত্রীকে কাজ করার জন্য জোর করতে পারবেনা, কেননা স্ত্রীর সম্পদের উপর স্বামীর কোন অধিকার নেই। আরো বলতে গেলে, স্ত্রী তার সম্পদ যথা ইচ্ছা ব্যয় করতে পারবে। পশ্চিমা সমাজের বহু নারী এ মর্যাদায় পৌঁছতে পারেনি, যতই তারা নারীর অধিকারের কথা মুখে আওড়ায়।

এ ব্যাপারে কি আর কিছু আলোচনার বাকি আছে?

মাইকেলঃ হ্যাঁ, তালাকের বিষয়টা বাকি আছে, তবে এর আগে আমি মনে করি একটু বিশ্রাম নেয়া দরকার।




Tags: