কোরআনের চরিত্র

কোরআনের চরিত্র

কোরআনের চরিত্র

মাইকেল ও রাশেদের উদ্দেশ্যে রাজিব কথা শুরু করলঃ গত আলোচনায় আমরা কিছু মুসলমানের আখলাক চরিত্র নিয়ে আলোচনা করেছিলাম, তাই এখন আমাদেরকে ইসলামী আখলাক চরিত্র নিয়ে আলোচনা করতে হয়। তোমরা কি বিষয়টিকে সংলাপের উপযোগী মনে করনা?

মাইকেলঃ হ্যাঁ। আমি কিছু কিছু মুসলমানকে দেখে আশ্চর্য হই, তাদের মধ্যে একদিকে কিছু উন্নত আখলাক দেখি, আবার অন্য দিকে এমন কিছু আখলাক দেখি যা উন্নত চরিত্রের সাথে মিলেনা।

রাশেদঃ এর দু’টো কারনঃ একঃ আখলাক সম্পর্কে তোমার দৃষ্টিভঙ্গি, দুইঃ নির্ধারিত আখলাকের ব্যাপারে তাদের ব্যবস্থাপনা ও অভিব্যক্তির পরিসর। ব্যক্তি চরিত্র পরিবেশ ও বেড়ে উঠার মাধ্যমে ফুটে উঠে, এছাড়াও উত্তারাধিকারী সূত্রেও প্রাপ্ত হয়। এদিকেই ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) ইঙ্গিত করেছেন, বিজ্ঞানের পরীক্ষা নিরীক্ষা ও গবেষণায় এটাই প্রমাণিত।

রাজিবঃ যদি তুমি সে ইঙ্গিতটা একটু স্পষ্ট করে বলতে।

রাশেদঃ এ ইশারা দু’টি হাদিসের সারাংশ থেকে পাওয়া যায়ঃ প্রথমতঃ রাসুল (সাঃ) এক সাহাবীকে উদ্দেশ্য করে বললেনঃ তোমার মধ্যে দু’টি গুন আছে যা আল্লাহ ও তার রাসুল পছন্দ করে। ধৈর্যশীলতা ও নম্রতা। সাহাবী বললেনঃ হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) আমি কি এদু’টো অর্জন করেছি নাকি আল্লাহ তায়া’লা আমাকে স্বভাবগতভাবেই দান করেছেন? রাসুল (সাঃ) বললেনঃ বরং আল্লাহ তায়া’লা তোমাকে স্বভাবগতভাবেই দান করেছেন। এ হাদিসে প্রমাণ করে যে, ধৈর্য্যশীলতা ও নম্রতা এমন গুন যা স্বভাবগতভাবেই ব্যক্তি জিনের গঠনের মাধ্যমে পেয়ে থাকে। অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ “জ্ঞান অর্জন হয় শিক্ষার মাধ্যমে আর ধৈর্য্যশীলতা অর্জন হয় আত্মার কঠোর নিয়ন্ত্রন ও বিনয়ের মাধ্যমে। যে কল্যান তালাশ করে তাকে তা দান করা হয়, যে অকল্যান থেকে পানাহ চায় তাকে তা থেকে রক্ষা করা হয়।” এ হাদিস প্রমাণ করে যে, ধৈর্য্যশীলতা ( যা পূর্বের হাদিসে সাহাবীর ক্ষেত্রে ছিল উত্তরাধিকারী সূত্রে পাওয়া) অর্জন করা যায়। এটা অবশ্যই সামাজিকবেড়ে উঠার দীক্ষার মাধ্যমে অর্জিত হয়।

মাইকেলঃ ইহা অনেক দার্শনিক চিন্তা গবেষণার ব্যাপার। কিন্তু এ সব দার্শনিক দিক বাদ দিয়ে বললে বলা যায় যে, প্রথমতঃ মানুষের মাঝে আদর্শিক অনুভূতিসমূহ স্বভাবজাত, যা ভাল গুনাবলীকে পছন্দ করে আর খারাপ অভ্যাসসমূহকে ঘৃণা করে। এটা যদিও মানুষের মাঝে শ্রেণীভেদে তারতম্য রয়েছে তথাপি কোন ভেদাভেদ ছাড়াই ইহা সকল মানুষের মাঝে সাধারনভাবে বিরাজমান। কিছু ভাল গুনাবলীকে ভাল মনে করা আর কিছু খারাপ কাজকে খারাপ ভাবা সব যুগেই ছিল। যেমনঃ সত্যবাদিতা, আমানতদারীতা, ন্যায়বিচার, ওয়াদাপূরণ, অঙ্গিকার রক্ষা ইত্যাদি সব মানুষই ভাল চরিত্র মনে করেন, ইহার প্রশংসা সব যুগেই সকলে করে থাকেন, পক্ষান্তরে মিথ্যাচার, জুলুম, ধোকাবাজি ও খিয়ানতকে কোন মানুষই ভাল মনে করেন না। এমনিভাবে সমতা, দয়া, বদান্যতা, প্রশস্ত হৃদয় ও উদারতাকে সকলেই ভাল মনে করেন।

অতএব, আমরা কি বলতে পারব যে, ইসলাম এসব বিষয়ে অন্যান্য মানুষের সাথে ভিন্নমত পোষণ করে? কেউ কি বলতে পারবে যে, ইসলাম চারিত্রিক গুনাবলীর ব্যাপারে অন্যান্য পদ্ধতি থেকে আলাদা মত পোষণ করে?

রাশেদঃ তুমি যে সব বাস্তবতা উল্লেখ করেছে সে গুলোকে ও উত্তম চরিত্রের গুনাবলী ও ঘটতির যেসব কথা বলেছ তা যদিও আমার জানা আছে তবুও তোমার কথার সাথে আরো একটু যোগ করতে চাই, শুধু ইসলামেই নয় অন্যান্য ধর্মেও চারিত্রিক অনেক রীতিনীতি ও পদ্ধতি রয়েছে। কেননা চরিত্রের ক্ষেত্রে ভাল ও খারাপের সীমারেখা নির্ধারনে এবং খারাপ থেকে ভাল যাচাই বাচাইয়ের পদ্ধতি নির্ধারন সম্পর্কে অনেক মতানৈক্য রয়েছে। কেননা আইন কানুন ও ইহার চর্চার ক্ষেত্রে সব মানুষের বিবেচনা শক্তি সমান হয়না। এসব ভিন্নতার কারনেই বিশ্বমন্ডল, ইহার অবস্থান, মানব জীবনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য ইত্যাদির ব্যাপারে ধারনারও মতানৈক্য দেখা দেয়।

যেমন, অনেক চারিত্রিক রীতি নীতির মতে আমিত্ব ই হলো চরিত্রের মূল। ইউরোপিয় রেনেসাঁ যুগে টমাস হব্স (Thomas Hobbes)ও বারুখ স্পিনোজা (Baruch Spinoza) বিভিন্নভাবে প্রমাণ করেছেন যে, স্বত্বার স্থায়িত্বকে রক্ষা করাই হল কল্যান। এমনিভাবে ফ্রয়েড তার প্রথমদিকের লেখালেখিতে একটি দর্শন পেশ করেন, যা এখনও অনেক পশ্চিমাদের কাছে আচার আচরনের মাপকাঠি ও ধরন হিসেবে বিবেচিত- আত্ম পরিতৃপ্তি (self gratification) লাভ এর অর্থ সেখানে প্রাধান্য পেয়েছে, বরং এটাকে আত্মিক অন্যান্য বিষয়ের উপর প্রাধান্য দিয়েছেন; যেখানে আত্মমর্যাদা ও বদান্যতাকে দ্বিতীয় স্তরে রেখেছেন, যা আত্মতৃপ্তি অর্জনে নানাভাবে প্রভাব ফেলে।

ব্যক্তিগত এ চারিত্রিক দিকের বিপরীতে আরেকটি দৃষ্টিভঙ্গি আছে যা সমষ্টি ও সমাজকে প্রাধাণ্য দেয়, যেখানে ব্যক্তি স্বার্থকে একেবারে উপেক্ষা না করে সামাজিক স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়।

মাইকেলঃ যদি আমরা বলি, ইসলাম অন্যান্য রীতিনীতি থেকে চমৎকার আলাদা কিছু চারিত্রিক রীতি-নীতির অধিকারী, তবে তা কোন ভিত্তির উপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে? এর গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য কি?

রাশেদঃ আমি ইতিপূর্বে আলোচনায় উল্লেখ করেছি যে, ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধান, মানব জীবনের সব বাস্তব দিক এ জীবন বিধানে রয়েছে। এমনিভাবে এটি এমন একটি বিধান যা বিশ্বাসের ধারনাকে শামিল করে যে বিশ্বাস অস্তিত্বের ধরন ও সেখানে মানুষের অবস্থান ইত্যাদি ব্যাখ্যা করে। এমনিভাবে মানুষের অস্তিত্বের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যকে নির্ণয় করে। এটি এমন একটি জীবন বিধান যা বিশ্বাসের ধারনা থেকে সব ধরনের বাস্তব সম্মত রীতিনীতি শামিল করে। ইহা মানব জীবনের জন্য একটি স্পষ্ট বাস্তব সম্মত পথ দেখিয়ে দেয়। যেমনঃ আখলাকি নিয়ম কানুন ও তার উৎস, রাজনীতি ও তার ধরন-বৈশিষ্ট, সামাজিক নিয়মকানুন ও এর মূলভিত্তি , কাঠামো , অর্থনীতি ও তার দর্শন, রূপরেখা এবং আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি ও সম্পর্ক।

ড. এম এইচ ডুরানী ইহাই তার বক্তব্যে স্পষ্ট প্রকাশ করেছেন, যিনি ইংল্যান্ডে একটি গীর্জায় পাদ্রী ছিলেন। তিনি বলেনঃ

ইসলামে জীবন বিধান, আইন, চারিত্রিক নিয়মনীতি সব কিছুই আছে। ব্যক্তির উপর আবশ্যকীয় ধর্মীয় ইবাদাতের পেছনে আখলাকি উদ্দেশ্য রয়েছে। এর উদ্দেশ্য, তাকে চারিত্রিক ও আত্মিক দিকে সংগঠিত করা। এ ছাড়াও তার জ্ঞান-বুদ্ধিকে পরিশুদ্ধ করা, এমনিভাবে তাকে শক্তিশালী করা, যাতে তার সাথে বসবাসকারী অন্যের প্রতি সে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য আদায় করতে পারে। ইসলামই একমাত্র তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক ধর্ম, ইহার অনুসারীকে অচৈতন্য ও রহস্যময় গোপনীয় কোন কিছু বিশ্বাস করতে বলা হয়না যেমনটা করা হয় খৃস্টান ধর্মে। কেননা ইসলাম আত্মিক ও পার্থিব জীবনের উভয় দিককেই সমানভাবে গুরুত্ব দেয়। প্রত্যেকটাকে তার স্থানে রেখেছে। তার দর্শন এমন ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত যা মানবের আচার আচরনের সকল দিককে শামিল করে।

রাজিবঃ ইসলাম যেহেতু চারিত্রিক নিয়মনীতির উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত তাই ইসলামের নিয়মনীতির গুনাবলী ও বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা করা দরকার।

রাশেদঃ ইসলামের চারিত্রিক নিয়মনীতির বৈশিষ্ট্যগুলো সংক্ষেপে নিম্নরুপঃ

মূল বিশ্বাসঃ যা বুঝায় মানুষ আল্লাহর সৃষ্টজীব। তার স্রষ্টা তার ভাল মন্দ সব কিছু সম্পর্কে সবচেয়ে অবগত। তিনি তাকে অনর্থক ছেড়ে দেননি। বরং তাদের কাছে তার পথ প্রদর্শক হিসেবে অনেক নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন। মানুষ মৃত্যুর পর পুনুরুত্থিত হবে, যেখানে তার দুনিয়া জীবনের ভাল মন্দ সব আমলের হিসেব নেয়া হবে। এ আখলাক পশ্চিমা আখলাক থেকে ভিন্ন যা দ্বীন থেকে সরে গেছে, আর বিজ্ঞান ও জীবন থেকে গীর্যাকে আলাদা করেছে।

স্থায়ীত্বঃ ইসলামের আখলাক চরিত্রের মূল নীতিগুলো স্থায়ী এবং মানুষ, জীবন ও জগতের মূল ধারনা থেকে উৎসারিত। যুগের পরিবর্তনে ইহার মৌলিকত্ব পরিবর্তন হয়না। যদিও মানব জীবনের নানা ঘটনা ও পরিস্থিতি পরিবর্তীত হয়। যেমনঃ সততা, আমানতদারিতা, ধৈর্য্য ইত্যাদি গুনাবলী সব যুগেই ভালো গুণ হিসেবে বিদ্যমান থাকবে। অন্যদিকে মিথ্যা, পরচর্চা, পরনিন্দা ইত্যাদি সর্ব যুগেই খারাপ দোষ হিসেবে বিবেচিত হয়। এগুলো থেকে মানুষ দূরে থাকে, জীবন ধারার পরিবর্তনের কারনে এগুলো মানুষের মাঝে পরিবর্তিত হয়না।

বাস্তবতার সাথে মিলঃ অনেকের ভুল ধারনা ইসলামের চারিত্রিক নিয়মকানুনগুলো বাস্তবতার সাথে মিল নেই, প্রকৃত পক্ষে ইহা মানব জীবনের সব বাস্তবতা ও তাদের সামর্থের সাথে মিল রয়েছে। প্রত্যেক মানুষই ইহা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম। এটা এমন এক চরিত্র যা ব্যক্তির জীবনকে সম্মানের সাথে সংরক্ষণ করে। কোন অসুবিধে ও বাঁধা ছাড়াই জীবনকে সামনে এগিয়ে নেয়। ইহা এমন আখলাক যা মানুষের স্বভাবের সাথে বিরোধপূর্ণ নয়। বরং মানব স্বভাবের পরিপূরক ও সামাঞ্জস্যপূর্ণ। অতএব ইসলামে আখলাকের বিষয়টি মানব জীবনের বিধি বিধান , যা ইহুদি ধর্মে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে এবং আত্মিক দিক যা খৃস্টান ধর্মে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে উভয়টাকেই শামিল করে। ভারতীয় লেখক পেগি রাডারিক এ ব্যাপারে বলেনঃ

“ইসলামের আখলাকি শিক্ষাদীক্ষায় আদর্শ ও বাস্তবতা উভয় দিকই বাস্তবায়িত হয়। এর কল্যানে মানুষ আল্লাহকে জানতে পারে, সে খোদাভীরু হয়, আবার অন্যদিকে প্রত্যাহিক জীবনের সব ধরনের কাজ কর্ম করতেও আগ্রহী হয়।”

নিয়মানুবর্তীতাঃ অর্থাৎ মানুষ জীবনের সব ক্ষেত্রে এসব আখলাক ধরে রাখতে অঙ্গিকারাবদ্ধ। কেননা মানুষ এ দুনিয়াতে আল্লাহর আদেশ নিষেধ পালনে আদিষ্ট, তার রয়েছে নির্দিষ্ট বার্তা, সে বহন করে এক আমানত। আবার তার রয়েছে ব্যক্তি স্বাধীনতা যা তার কাজকে বিচার বিবেচনা করে এবং এর উপর ভিত্তি করেই তাকে প্রতিদান দেয়া হবে। এজন্যই আখলাকি নিয়মানুবর্তীতা ব্যক্তির দায়িত্ব ও কর্তব্য আদায়ে অনেক ভূমিকা পালন করে।

দায়িত্বশীলতাঃ মানুষ কখনো উত্তম চরিত্রের অধিকারী হতে পারবেন না যতক্ষণ না তার মাঝে দায়িত্বশীলতার অনুভূতি সৃষ্টি না হয়। দায়িত্বশীলতা বা জবাবদিহিতা মানে মানুষের থেকে যা ঘটে তা স্বীকার করে এর উপর ভিত্তি করে যে সব ফলাফল দাঁড়ায় সে ব্যাপারে নিয়মানুবর্তী হওয়া ও সেগুলো স্বীকার করা ও তার নিজের ইচ্ছায় হয়েছে মনে করা। ইহা ভাল কাজ হোক বা মন্দ কাজ হোক। আল্লাহর সামনে এবং তার অভ্যন্তরীণ আত্মা ও সমাজের সামনে এর জবাবদিহিতা থাকা।

ইসলামে দায়িত্বশীলতার একটা সীমারেখা রয়েছে। আর তা হলো ব্যক্তি দায়িত্বশীলতা ব্যক্তির স্বীকৃতি ও কাজের মাঝে সীমাবদ্ধ, আবার তার রয়েছে সামাজিক দায় দায়িত্ব, যখন কাজটিতে একাধিক লোক জড়িত থাকবে। এমনিভাবে ব্যক্তি ও সমাজের মাঝে দায়িত্বের ভাগাভাগি হবে। তবে নিয়ম হলো কোন ব্যক্তি অন্যের কাজের দায় দায়িত্ব বহন করবেনা।

সামাজিক নিয়মকানুনের সাথে আখলাকি নিয়মকানুনের সংযোজনে আভ্যন্তরীন চেতনার উন্নতিঃ মানুষ তার আভ্যন্তরীন জগত তৈরি করে, এ জগতে তার আখলাকি নিয়মানুবর্তীতার জন্য চেতনার সৃষ্টি হয়। ইসলাম সব ক্ষেত্রে নিয়্যাতের উপর গুরুত্ব দিয়ে সে চেতনাকে উন্নত করার ব্যবস্থা করেছে। নিয়্যাত হলো,মানুষের কাজের জন্য তার নির্ধারিত আভ্যন্তরীন ইচ্ছা শক্তির উপস্থিতি। তবে ইসলাম জানে, মানুষ পরিপূর্ণ নয় এবং সে ভুলের উর্ধে নয়, সে অনেক নাজুক পরিস্থিতির স্বীকার হতে পারে ও তাতে প্রভাবিত হতে পারে। এজন্যই ইসলাম মানুষকে শুধু আভ্যন্তরীন আত্মার নিয়ন্ত্রনের উপর ছেড়ে দেয়নি, বরং ইহকালিন ও পরকালিন নানা প্রতিদান ও শাস্তির অঙ্গিকার করে তাকে আখলাকি মূলনীতির উপর থাকতে সহযোগীতা করেছে।

রাজিবঃ আসলেই এমন নিয়ম-কানুন ভাবনা ও সম্মান পাওয়ার যোগ্য।




Tags: